ব্যুরো নিউজ, ২৯ ফেব্রুয়ারি: মঙ্গলবার দক্ষিণ জিনাজপুরের তপন ব্লকের লস্করহাটের বাসিন্দা নারায়ন বর্মণ, সন্ন্যাসী ওরাওঁয়ের মুঠোফোনে ‘সরকারি মেসেজ’ আসে, কেন্দ্রের তরফে দু বছর ধরে যে ১০০ দিনের বকেয়া মজুরির টাকা আটকে রাখা হয়েছিলো সেই টাকা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতার সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহান
সেই মেসেজ পেয়েই তারা টাকা নিতে তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কে ছুট লাগান। কিন্তু আশ্চর্য। বিকেল ৪ টে পর্যন্ত তারা ব্যাঙ্কে বসে থাকলেও মজুরির কোনরকম টাকা তারা পাননি বলে অভিযোগ। ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকদের একাংশ। ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সাথে কথা বলেও জানা যায় যে ওই জাতীয় কোন নির্দেশ সরকারের তরফে তাদের কাছে আসেনি।
উল্লেখ্য, দঃ দিনাজপুরের ১০০ দিনের বকেয়া পাওয়া মজুরের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি। আর তাদের ১০০ দিনের কাজের মজুরির পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় ৩৭ কোটির মতো। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ জানান, বকেয়া মজুরির টাকা শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো শুরু হয়েছে। ১ মার্চের মধ্যে বকেয়া মজুরির সমস্ত টাকা শ্রমিকেরা পেয়ে যাবেন। তবে ব্যাঙ্কে টাকা ঢোকার আগে সরকারী মেসেজ কীভাবে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ব্যপারে প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্কে টাকা পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে। তাদের অ্যাকাউন্ট যাচাই করার জন্য ফোনে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। যদিও রাজ্যের এই কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, যেই সমস্ত জায়গার তালিকা দেখিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে তার অধিকাংশ জায়গায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ ছিল। এক্ষেত্রে তৃণমূল কর্মীদের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য উপভোক্তা বানানো হচ্ছে। অভিযোগের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সুভাষ ভাওয়ালকে বলতে শোনা যায়, বিজেপির করা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রশাসনের তরফে সমীক্ষা করেই উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাদের প্রাপ্য টাকা ঢুকবে। ইভিএম নিউজ