ব্যুরো নিউজ, ৬ নভেম্বর: ৩৮ ঘন্টার যাত্রা এখন ১২ ঘন্টায়! মোদী-হাসিনার হাত ধরে চালু আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ ৭০ বছর আগে ভারতে-বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলপথটি পুনরায় চালু হল কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগে। ভারত সরকারের অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তায় সেটি নতুন করে চালু হয় বুধবার। দিল্লিতে নয়া নিয়ম |ধর্মীয় স্থানের ১৫০ মিটারের মধ্যে থাকবে না মাংসের দোকান
গত বুধবার নয়া দিল্লি ও ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরা। দুটি রেল ও একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মোদী বলেন, গত ৯ বছরে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের যে অগ্রগতি আগে তা হয়নি। অন্যদিকে শেখ হাসিনা বলেছেন, দু’দেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায় বিরাজ করছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার আগরতলার সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তের আখাউড়া পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেলপথ পুনরায় চালু হওয়া এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এবং দুই দেশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। ৭০ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই রেলপথটি পুনরায় চালু করার জন্য বাংলাদেশের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই প্রচেষ্টাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এই প্রথম ভারতের উত্তর-পূর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলো। দেশ ভাগের পর কয়েক বছর ওই রেলপথ পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) সঙ্গে চালু ছিল। বাংলাদেশ গঠনের পর ৫২ বছর কেটে গেলেও সেটি আর নতুন করে চালু হয়নি।
ত্রিপুরা- বাংলাদেশের সঙ্গে এই রেলপথের সুবাদে কলকাতা-আগরতলার যোগাযোগ আরো সহজ হয়ে গেল। কলকাতা থেকে ট্রেনে আগরতলা যেতে নিউ জলপাইগুড়ি এবং গুয়াহাটে-সহ অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা পেরতে হয়। তার জন্য সময় লাগে ৩৮ ঘণ্টা। তবে মোদী-হাসিনার হাত ধরে চালু হওয়া আগরতলা- আখাউড়া রেলপথ কলকাতা ত্রিপুরার যোগাযোগ অনেক সহজ করে দেবে। কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে আগরতলা মাত্র ১২ ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
শুধু যাত্রীদের জন্য নয় কলকাতা-সহ ভারতের বাকি অংশ থেকে পণ্যবাহী ট্রেন দ্রুত এই রেলপথ ধরে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। বাণিজ্যেও দু’দেশেই শ্রীবৃদ্ধি! সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ