কৃষ্ণনগরের

ব্যুরো নিউজ, ২১ নভেম্বর: ২৫২ বছরে পদার্পণ করলেন কৃষ্ণনগরের ‘বুড়িমা’ 

চলতি বছর কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজো পা দিয়েছে ২৫২ বছরে। প্রতি বারের মতো এ বারও আশা করা যেতেই পারে যে সেই মণ্ডপে ১০ লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় জমবে। বুড়িমাকে পরানো হয়েছে ১২ কেজি সোনার গহনা। তা দেখতে ভিড় জমান লক্ষ মানুষ। ভিড় এড়াতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের চাষাপাড়ার বুড়িমার মন্দিরে দর্শনার্থীদের জন্যে তিন দিক দিয়ে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাস্তায় থাকছে বাঁশের ব্যারিকেড। অঞ্জলির সময় নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ মোতায়েন থাকছে। আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা ও দমকল বাহিনী। মন্দির চত্বরে জেলা পুলিশের ক্যাম্পে থাকছে মেডিক্যাল টিম, স্বেচ্ছাসেবী, অ্যাম্বুল্যান্স। এই স্বেচ্ছাসেবীরা ভিড় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণেও সাহায্য করবেন।

ছট পুজো উপলক্ষে ঘাটে ঘাটে কড়া নিরাপত্তা 

বুড়িমার ভোগের জন্যও থাকে বিশেষ ব্যবস্থা। মহাপ্রসাদের মশলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তিন দিন আগে থেকেই। ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক মিলে তৈরি করেন মহাভোগের মশলা। এই মশলা ব্যবহার করে ৫০ কুইন্টাল গোবিন্দভোগ চালের পোলাও প্রস্তুত করা হবে বুড়িমার ভক্তদের জন্য। ২০০ কেজি দারুচিনি, ১,৪০০ কেজি ঘি, ৫০ কুইন্টাল গোবিন্দভোগ চাল। তার সঙ্গে মেশানো হয় আরও কয়েক কুইন্টাল কাজু, কিশমিশ। এই দিয়েই রান্না করা হয় কৃষ্ণনগরের বুড়িমার ভোগ। কুপন কেটে সেই মহাপ্রসাদ পান প্রায় ৩৫ হাজার ভক্ত। উদ্যোক্তাদের দাবি, পুজো বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা।

পুজো কমিটির সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “প্রতি বছরের মতো প্রায় ১০-  ১২ লক্ষ ভক্ত সমাগমের আশা করছি। প্রসাদের ব্যবস্থা থাকছে। ভিড় সামলানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে”।  কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সঞ্জয় কুমার মাকওয়ান বলেন, “মঙ্গলবার অঞ্জলির সময় থেকে প্রতিমা বিসর্জন হওয়া পর্যন্ত বুড়িমার পুজোয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি ফার্স্ট প্রায়োরিটি বেসিস ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে”। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর