২১ জুলাই

ব্যুরো নিউজ, ২৪ নভেম্বর: ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলে ২৯ নভেম্বর শাহী সভা | অনুমতি হাইকোর্টের

ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২৯ নভেম্বর বিজেপির সভায় অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন রাজ্যকে ২১ জুলাইয়ের সভা স্থলেই সভা করার অনুমতি দিতে নির্দেশ দেয়।

রাজ্যের বক্তব্য প্রগ্রামের অন্তত ২৩ দিন আগে আবেদন করতে হয়। কিন্তু প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রেখে সভা করার অনুমতি দিল। তবে যেহেতু এই ধরনের মিটিংয়ে, জনসমাবেশে ট্রাফিক ব্যাবস্থার অবনতি হয় তাই পুলিশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাথায় রেখে যুক্তি সংগত কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।

‘২১ জুলাই ব্যতিক্রম’! আদালতে ‘আজব’ যুক্তি রাজ্যের

শুনানি চলাকালীন কথোপকথন:

রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত – ভিক্টোরিয়া হাউস হচ্ছে কলকাতা ইলেকট্রক সাপ্লাই করপোরেশনের অফিস। তিন রাস্তার সংযোগস্থল। ২১ জুলাই ১৯৯৩ তৎকালীন কংগ্রেস ভোটার পরিচয় পত্র প্রদানের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। সেই আন্দোলনে প্রায় ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। পরে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সেই দিনটি উদযাপন করে। এ ছাড়া আলাদা কোনো বিষয় নেই ওই স্থানে শাসক দলের সভা করার।

প্রধান বিচারপতি – আমি বিগত দুবছর ধরে দেখছি কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় মিটিং মিছিল করা হয়। একটা রাস্তায় অনুমতি না পেলে অন্য রাস্তায় করা হয়। এতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়। কিন্তু এটাই এই রাজ্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শুধু রাজনৈতিক দল নয়। বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনও তা করে।

রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত – বিজেপি যে আবেদন করেছিল সেখানে জানানো হয়, প্রায় ১০ হাজার সমর্থক ও দুশোর মত গাড়ি আসতে পারে।

প্রধান বিচারপতি – অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নানা রকম অজুহাত দিয়ে সভা আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনীতির তাস না খেলে কিছু যুক্তিগ্রাহ্য শর্ত দিয়ে মিছিলের অনুমতি দিয়ে দিলেই তো মিটে যেতো।

এছাড়াও প্রধান বিচারপতি বলেন, হনুমান জয়ন্তীর পর মিটিং মিছিল নিয়ে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল সেগুলো কার্যকর করা হয়নি। একই সঙ্গে এই ধরনের মিটিং মিছিলে সরকারি বাস গুলো তুলে নেওয়া হয় সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা না ভেবেই। ইভিএম নিউজ

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর