দাউদ ইব্রাহিম

ব্যুরো নিউজ, ১৮ ডিসেম্বর: হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম | বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা?

ফের খবরের শিরোনামে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ দাউদ ইব্রাহিম। সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা ছড়িয়েছে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ১৯৯৩ সালে মুম্বইয় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূল চক্রী। দাবি করা হয়েছে, বিষ প্রয়োগের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দাউদ। তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। যদিও ভারত বা পাকিস্তান কোনও দেশই সরকারি এই খবররের সত্যতা এখনও পর্যন্ত স্বীকার করেনি।

৭ বছরের শিশুকে খুন করে খাওয়ার ঘটনায় ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন

পাকিস্তানের করাচিতে দাউদকে বিষ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দাউদ ইব্রাহিমকে করাচির এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, বিষ প্রয়োগের খবর নিশ্চিত করা যায়নি। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, তাকে যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সেখানে কড়া নিরাপত্তার বলয়ে রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।

রবিবার রাত থেকে এই জল্পনা তুঙ্গে। যত সময় যাচ্ছে, তত সেই জল্পনার মাত্রা আরও বাড়ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের যে হাসপাতালে দাউদকে রাখা হয়েছে, সেখানে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের যাওয়ার অনুমতি আছে। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে পাকিস্তানের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারত সরকারও।

আগে থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যয় ভুগছিলেন দাউদ। সূত্রের খবর, দু’দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতালে চারপাশে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বেষ্টনী। সূত্রের খবর, হাসপাতালে যে তলায় রয়েছেন দাউদ সেখানে দাউদ ছাড়া আর কোনও রোগী নেই বলে জানা গিয়েছে। তবে ওই তলায় শুধুমাত্রা প্রবেশাধিকার রয়েছে হাসপাতালে শীর্ষস্থানীয় কর্তা ও পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্য়দের। বাকি কারও প্রবেশাধিকার নেই সেখানে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে একের পর এক বিস্ফোরণে মূল চক্রী ছিলেন এই দাউদ ইব্রাহিম। বিস্ফোরণের পর ভারত ছেড়ে তিনি পালিয়ে যান দুবাইয়ে। এরপর ঘাঁটি তৈরি করেন পাকিস্তানে। সূত্রের খবর, সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন দাউদ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতে জঙ্গি হামলা, খুন, অপহরণ, সুপারি কিলার, সংগঠিত অপরাধ, মাদক, অস্ত্র চোরাচালানের মতো একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি দাউদকে ২০০৩ সালে বিশ্বব্যাপী জঙ্গি ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১১ সালে তাঁকে FBI ও ফোর্বসের একটি তালিকায় বিশ্বের তৃতীয় মোস্ট ওয়ান্টেড পলাকত অপরাধী হিসেবে ঘোষণাও হয়।

তবে তাঁর বোন হাসিনা পারকারও কোনও অংশে কম যান না। দাউদের বোন হাসিনা ছিলেন ‘আন্ডারওয়ার্ল্ডের কুইন’। এমনকি সেই হাসিনার জীবনী নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ছবি। সেখানে হাসিনার ভূমিকায় সোনাক্ষী সিনহা। ‘অন্ধকার জগতের রানি’ হিসেবে কুখ্যাত ছিলেন হাসিনা পারকার। মুম্বইয়ের নাগপাডা এলাকায় ছেলে আলিশাহ ও পুত্রবধূর সঙ্গে থাকতেন তিনি। গত বছর হৃ্দরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৫ বছরে মারা যান হাসিনা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর