ব্যুরো নিউজ, ৭ ডিসেম্বর: সুপ্রিম নির্দেশে আত্মসমর্পণ আইপিএসের
বিচারকের নামে ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা বিহারের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আইপিএস আধিকারিকের। শেষে আত্মসমর্পণ করলেন আইপিএস।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পলাতক ছিলেন আইপিএস আদিত্য কুমার। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়। তার পরেই আত্মসমর্পণ করেন ২০১১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার আদিত্য কুমার।
বিহারে মদ সংক্রান্ত এক মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন ২০১১ সালের ব্যাচের আইপিএস আধিকারিক আদিত্য। সেই মামলা ধামাচাপা দিতে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভুয়ো প্রোফাইল খোলেন পটনা হাই কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোলের নামে। সেই প্রোফাইল থেকে মামলা ধামাচাপা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বিহার পুলিশের ডিজিপি এসকে সিঙ্ঘলকে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে যায়। সেই সময় থেকেই পলাতক আদিত্য কুমার।
এই মামলাতেই নিম্ন আদালতে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়। ক্রমান্বয়ে আদিত্য সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানেও খারিজ করে দেওয়া হয় তাঁর আগাম জামিনের আর্জি।
সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় দু’সপ্তাহের মধ্যে আইপিএস আধিকারিক আদিত্য কুমারকে সংশ্লিষ্ট থানায় আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। সেই মতো আত্মসমর্পণ করেন আদিত্য। পাশাপাশি বিহারের ‘ইকনমিক অফেন্স উইং’কে এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য কেসডায়েরি-সহ জমা দিতে হবে আদালতের কাছে। ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী মামলার শুনানি। ইভিএম নিউজ