ব্যুরো নিউজ, ২৯ নভেম্বর: সুড়ঙ্গে কীভাবে আটকে পড়েছিল শ্রমিকরা?
প্রতীক্ষায় গোটা দেশ। দীর্ঘ ১৭দিন ধরে সুরঙ্গে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। প্রতি শ্রমিককে উদ্ধার করতে ৩-৫ মিনিট সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়। গত কয়েকদিন ধরে বার বার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে উদ্ধারকাজ। বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নতমানের মেশিন এনেও উদ্ধার করা যায়নি শ্রমিকদের। কিন্তু শ্রমিকরা আটকে পড়েছিলেন কীভাবে?
CESC- এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল
এই টানেলটি সিল্কিয়ারা টানেল বলে পরিচিত। মোট দৈর্ঘ্য ৪.৫ কিমি। এই টানেল পথেই চারধামের সঙ্গে যোগাযোগ। বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীর সঙ্গেই এই টানেলপথেই যোগাযোগ। সিল্কিয়ারা ও দান্দলগাঁওয়ের মধ্য়ে এই যোগাযোগের রাস্তা। সিল্কিয়ারার দিক থেকে ২.৪ কিমি। আর অন্যদিক থেকে ১.৭৫ কিমি। এই টানেল তৈরি করা হচ্ছিল। হায়দরাবাদের একটা কোম্পানি এই টানেল তৈরির দায়িত্বে রয়েছে।
গত ১২ নভেম্বর সিল্কিয়ারার দিকে ২০৫-২৬০ মিটারের কাছাকাছি এলাকায় সুরঙ্গটি ধসে যায়। আর সুরঙ্গের মধ্যেই শ্রমিকরা আটকে পড়ে। কিন্তু সবথেকে আশার কথা হল, সুরঙ্গের যেদিকে শ্রমিকরা আটকে পড়েন সেদিকে জলের যোগান ও বিদ্যুত্ রয়েছে।
কিন্তু কেন সুরঙ্গ ধসে গেল? এখন সেই প্রশ্নই উঠছে। মনে করা হচ্ছে হিমালয়ে কোনওভাবে ধস নামে। তার জেরেই এই কাণ্ড! আবার অনেকের মতে, তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে এলাকার ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলার ফলে এই বিপত্তি।
টানেল তৈরির ক্ষেত্রে ত্রুটি ?
এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, সম্ভবত কোনও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। তখনই সুরঙ্গে ধস নামে। ভূতত্ত্ববিদ এসপি সতী আগেই জানিয়েছিলেন, এজেন্সি ব্যাপারটা মানতে চাইবে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত একটা বড় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। এদিকে সেই সংবাদ মাধ্যমের আগের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল টানেল থেকে বের হওয়ার জন্য একটা এমার্জেন্সি এক্সিট রাখার প্ল্যান ছিল। সুরঙ্গের প্ল্যানে সেটির উল্লেখ আছে। কিন্তু বাস্তবে সেই এমার্জেন্সি এক্সিট করা হয়নি।
এক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্সকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, সুড়ঙ্গে এই ধরনের আপত্কালীন বের হওয়ার পথ করা হয়। কিন্তু সেটা বহু ক্ষেত্রেই শেষে তৈরি করা হয়। কারণ টানেলটা ভেঙে পড়বে সেটা তো প্রত্যাশা করা হয় না। তবে সেটা সেখানকার ভূপ্রাকৃতিক জায়গা দেখে করা হয়। সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ
