ব্যুরো নিউজ, ১২ ডিসেম্বর: সাহুর ৩৫৪ কোটি, তল্লাশি রাজ্যেও
কংগ্রেসের রাজ্য সভার সাংসদ ধিরজ প্রসাদ সাহুর বাড়ি ও অফিস থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৩৫৪ কোটি নগদ টাকা। এ পর্যন্ত দেশে এতো পরিমান টাকা আগে উদ্ধার করতে পারেনি আয়কর দফতর। কংগ্রেসের ওই দুবারের রাজ্য সভার সাংসদের বাড়ি অফিস ও মদের কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে আয়কর দফতর বিস্মিত। আলমারিতে থরে থরে সাজানো ৫০০, ২০০ ও ১০০ টাকার নোট। টানা ৬ দিন ধরে সেখানে চলছে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। তল্লাশি এখনো থামেনি। শেষ পর্যন্ত কতো টাকা উদ্ধার হবে তা জানেননা কেউই।আয়কর দফতরের অফিসারেরা জানিয়েছেন, সাহুর যতগুলো ডেরা ছিল সব জায়গাতেই টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই টাকা গোনার গণ্ডা কয়েক মেশিন অকেজো হয়ে পরেছে। খুঁজতে হচ্ছে সেই মেশিন সারানোর লোক।
ধিরজের ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির প্রাসাদোপম অট্টালিকায় ঢুকে হটাৎই তল্লাশি শুরু করে আইটির কেন্দ্রীয় স্তরের কর্মচারীরা। যাতে আগাম খবর ফাঁস না হয়ে যায়, সেই জন্য সাহুকে ৩ রাজ্যের কোথাও তল্লাশির আগে আইটির স্থানীয় অফিসারদের জানানোই হয়নি। তল্লাশি শুরুর পরে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও সাহায্য চাইতে স্থানীয় আয়কর অফিসারদের ফোন করা হয়। আয়কর অফিসারেরা দেখেন বাড়ির মূল ফাটক থেকে সমস্ত উঠোনে সাজানো রয়েছে দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি। কারন ধিরজের দামি গাড়ির নেশা ছিল বরাবর। এখনো পর্যন্ত আয়কর অফিসারেরা টাকা গণনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও ধিরজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নেই। তাঁরা আগেই একটি বিয়ে বাড়িতে যোগ দিতে চলে যায় ভিন রাজ্যে। ওড়িশায় ধিরজের বহু বছরের মদের কারখানা রয়েছে।
বালুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ED | ধান কিনেই ৪০০ কোটির ‘দুর্নীতি’
বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। বিজেপির বক্তব্য, নগদে এতো টাকা বাড়িতে রাখা যায় না। কালো টাকা না হলে এভাবে গোপনে টাকা রাখা হতো না। যদিও কংগ্রেস পাল্টা বলেছে, ধিরজের টাকা বেআইনি হলে কংগ্রেস তাঁর দায় নেবে না। বেছে বেছে বিরোধীদের ডেরায় হানা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। অথচ দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তা শোধ না করে অনায়াসেই বিদেশে পালিয়ে গেলো বিজয় মাল্য, মেহুল চোকসি, ও নিরব মোদীরা। তাঁরা বহাল তবিয়তে বিদেশে রয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী মোদী নিরব। প্রধানমন্ত্রী মেহুল চোকসিকে প্রকাশ্য মঞ্চে ‘মেহুল ভাই’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। অথচ আজ সেই মোদী নিরব।
কলকাতায় ধিরজের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছিলো আয়কর দফতর। দঃ কলকাতার ওই ফ্ল্যাটে একটি বিদেশি গাড়িও রয়েছে। সেখানে প্রায়ই ধিরজ প্রসাদের লকেদের আনাগোনা ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বিজেপি কংগ্রেসকে সমালোচনায় বিদ্ধ করে বলেছেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে কংগ্রেস। কিন্তু দুর্নীতি প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন বিজেপি। ইভিএম নিউজ