পুরনো

ব্যুরো নিউজ, ২৩ অক্টোবর: সাড়ে চারশো বছরের পুরনো রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়ীর পুজো

প্রথমে চলত বাসন্তী পূজা, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে শুরু হয় লক্ষ্মী গণেশ কার্তিক স্বরস্বতীর পুজো। অষ্টমীতে আটটি ভাজা দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হবে। আর নবমীতে দেওয়া হবে মাছ ও পান্তা ভাতের ভোগ। সাড়ে ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য মেনেই ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজবাড়ীর দুর্গাপুজো।

পরিবেশ বান্ধব মণ্ডপে জন প্লাবন 

শুধুমাত্র কৃষ্ণনগর নয় গোটা জেলা-রাজ্য থেকে ভক্তরা আসেন কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজবাড়ী দর্শন করতে, পুজোর অঞ্জলি দিতে। সাড়ে চারশো বছর আগে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের হাত ধরেই শুরু হয় দুর্গা প্রতিমা ও তার সন্তানদের নিয়ে দুর্গা পুজো। এরপরে সেই রীতি আস্তে আস্তে গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

যখন এদেশে ইংরেজরা প্রবেশ করেছে তখন চলতো বাসন্তী পূজা। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় প্রথম শুরু করেন এই দুর্গাপুজো। কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বাড়িতে দেবী রাজ রাজশ্রী নামে মহামায়া রূপে পূজিত হন। মহালয়া থেকে শুরু হয় হোম-যজ্ঞ। টানা দশমিক পর্যন্ত চলে এই হোমের আগুন। সপ্তমীতে সাতটি ভাজা দিয়ে মায়ের সামনে ভোগ দেওয়া হয়। ঠিক সেই রকম অষ্টমীতেও আট রকম ভাজা দিয়ে মাকে পুজো করা হয়। নবমীতে প্রাচীন রীতিনীতি মেনে পান্তা ভাত ও বিভিন্ন মাছের ভোগ দেওয়া হয়। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র রায়ের বংশধরের বর্তমান গৃহবধূ অমৃতা রায় বলেন, আমরা প্রাচীন রীতি বজায় রেখে এখনো পূজা করছি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়মের পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি। তিনি বলেন সাড়ে ৪০০ বছরের সেই পুরনো রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন পদের ভাজা ও পান্তা ভাত-সহ মাছের ভোগ দেওয়া হয় প্রতিমাকে। এখানে দেবী মহাময়ের রূপে পূজিত হন বলে জানান তিনি। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর