প্রতারণা

ব্যুরো নিউজ, ১ অক্টোবর: সাইবার প্রতারণার নয়া কৌশল

ভাবলে প্রায় চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হবে। সাইবার প্রতারণায় এইবার দেখা মিললো নয়া কৌশলের। ভিন রাজ্য থেকে আসা এবং ভিন রাজ্যে কাজের জন্য যাওয়া শ্রমিকদের, তাদের অজান্তেই মোটা টাকার বিনিময়ে হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে সাইবার প্রতারণার। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার এবং রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের খবর প্রায় প্রতি মাসে বাংলা থেকে কাজের জন্য প্রচুর লোক বাইরের রাজ্যে যায়। এইসব শ্রমিকদের মধ্যে যারা মোটামুটি পড়াশোনা জানা তাঁদের মোটা টাকা দিয়ে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে সাইবার দস্যুদের একাংশ। কিন্তু এই পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেরাই জানেন না যে, তারা অজান্তে কোন সাইবার ক্রাইমের কবলে পড়ছেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা সাধারণত একদিন কাজ করে যত টাকা পান তার থেকে প্রায় চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি দিয়ে তাদের কাজের সুযোগ করে দিয়ে তাদের প্রতারণার কাজে লাগানো হচ্ছে। লালবাজার জানায়, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এবং বিহারে চলছে এই প্রশিক্ষণ শিবির।

কীটনাশক খেয়ে ‘আত্মহত্যা&#821িত্নাশ

অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে যারা খানিকটা পড়াশোনা জানে তাদের আরো বাড়তি সুবিধা দিয়ে প্রথম দিকে শেখানো হচ্ছে কম্পিউটার। তারপর তারা শিখছে কাজ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ভারতীয়দের ফোন নম্বর জোগাড় করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফোন করে তাদের থেকে আঁধার নম্বর ও ব্যাংকের একাউন্ট নাম্বার জোগাড়ের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই বিষয়ে অবশ্য কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, আমরা আগে থেকেই গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলাম। তদন্তে নেমে প্রথমে বিহার থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। কলকাতায় তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আমরা জানতে পারি যে সেই ব্যাক্তি একসময় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। এরপর তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের এস টি এফ শাখা জানতে পারে যে মূলত আরব থেকে পরিচালিত হচ্ছে এই চক্রের

সম্প্রতি এই ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণী থানার পুলিশ। একটি ব্যাংক প্রতারণার মামলা দায়ের হয় ওই থানায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মোকতার আলম ও রওশন আলি নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এই মোকতার আলম ও রওশন আলি পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। তাঁরা বিহারেও গিয়েছিলেন। পরে সেইখানেই তাঁদের ঠাণ্ডা ঘরে বসিয়ে সাইবার প্রতারণার কাজে লাগায় সাইবার দস্যুরা। বর্তমানে মোকতার আলম ও রওশন আলি পুলিশের হেফাজতে আছে। এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি সাইবার অতুল ভি বলেন,          ধৃতদের কাছ থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবার জন্যে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আরও কারা কারা এতে যুক্ত আছে এই বিষয়েও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। ইভিএম নিউজ   

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর