মাধব দেবনাথ, নদীয়া ৬ মার্চঃ সবজির হাটের দখল নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে চলল গুলি। গুলিতে আহত হলেন, রিপন বিশ্বাস নামে তৃণমূল সমর্থক এক সবজি ব্যবসায়ী। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল, নদীয়ার চাকদহ থানার দুবড়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান অন্নপূর্ণা বিশ্বাসের স্বামী বুদ্ধ বিশ্বাস ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল পঞ্চায়েতপ্রধানের স্বামী। গুরুতর জখম অবস্থায় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সবজির হাটের মালিক তথা তৃণমূলকর্মী রিপন বিশ্বাস। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চাকদহ থানার বিষ্ণুপুর পদ্মবিলা এলাকার বাসিন্দা জনৈক রিপন বিশ্বাসের একটি সবজির হাট রয়েছে। পাশাপাশি তিনি প্রোমোটারিও করেন। মঙ্গল এবং শনিবার ছাড়া, সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন ওই হাটে সবজি বিক্রি হয়। অন্যদিকে, একই এলাকার বিষ্ণুপুর বাজারে প্রতি মঙ্গল ও শনিবার আরও একটি সবজির হাট চালান, দুবড়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান অন্নপূর্ণা বিশ্বাসের স্বামী বুদ্ধ বিশ্বাস। এই হাটকে কেন্দ্র করেই শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকবার সেই বিবাদ, এমনকী বোমাবাজির ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়সূত্রে খবর। তৃণমূলকর্মী রিপন বিশ্বাসের অভিযোগ, রবিবার রাতে তিনি যখন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন পঞ্চায়েতপ্রধানের স্বামী বুদ্ধ বিশ্বাসের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ জনের একটি দল হঠাৎই সেখানে এসে, তাঁর ওপর হামলা করে। রিপনকে লক্ষ্য করে কয়েকরাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। একটি গুলি তাঁর কানের পাশে লাগে। এরপর লোহার রড বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলকর্মী রিপন বিশ্বাস।
ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়, কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় চাকদহ থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পরপর এধরনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই জেরবার, তৃণমূল কংগ্রেসের নদীয়া জেলার নেতৃত।