ব্যুরো নিউজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি: উত্তর ২৪ পরগণার অন্যতম ২ ত্রাশ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার গ্রেফতার হওয়ার পরে সন্দেশখালি এলাকার মানুষের ক্ষোভ প্রশমনে নেমেছে রাজ্য সরকার। শনিবার দুয়ারে কর্মসূচীর নানা প্রকল্প নিয়ে সেখানকার মানুষের দরজায় দরজায় ঘুরছিল গানের দল। কিন্তু, তাদের দেখা মাত্রই গ্রামবাসীরা প্রশ্ন করে পয়সা আর জিনিস দিয়ে আমারা আর ইজ্জত বিক্রি করবো না। কেন এখনও সেখানকার অপরাধ জগতের কিংপিং শেখ শাহাজাহানকে গ্রেফতার করা হয়নি? আর সেই ক্ষোভ শুনেই খুশি হয়েছে ওই ছেলে ভোলানো গানের দল। গলায় ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে তারা রাজ্য সরকারের জয় গান গাইতে নেমেছিল। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। বরং অত্যাচারিত মহিলাদের পাল্টা রুখে দাঁড়ানো দেখে গান ভুলে একেবারে এলাকা ছাড়া হন। ২ কীর্তিমান গ্রেফতার হলেও শাহাজাহানকে ধরবে কে? সেটাই এখন মিলিয়ান ডলারের প্রশ্ন।
শাহাজাহান বাহিনী সক্রিয় ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামে
অপেক্ষার অবসান | আগামী মাসেই চলবে নদীর নীচের মেট্রো
ইতিমধ্যেই শেখ শাহাজাহান ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিশেষ ইডি আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। আর সন্দেশখালিতে তার বাড়িতে ইডি অফিসারদের ওপর আক্রমনের ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলায় বারাসাত জেলা আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছে শাহাজাহান। শাহাজাহান ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু সে কীভাবে জামিনের আর্জিতে সই করছেন বা ওকালতনামায় সই করছেন তা নাকি রাজ্যের ‘করিদকর্মা’ পুলিশ জানেই না। বরং রাজ্য সরকারের নির্দেশে পুলিশও নেমেছে ড্যামেজ কন্ট্রোলে। তারা বলছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহাজাহানের নামে অভিযোগ থাকলে কেন ইডি তাকে গ্রেফতার করছে না? রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেছেন, হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে ইডি। তাই রাজ্য পুলিশের আর কিছু করার নেই।
কিন্তু, আইন মোতাবেক ইডি অফিসারদের আক্রমনের ঘটনায় শাহাজাহানকে রাজ্য পুলিশ চাইলেই গ্রেফতার কোরতে পারে। শাহাজাহানকে হাজিরা দেওয়ার জন্য চতুর্থ বার নোটিশ পাঠানোর তোরজোড় শুরু করেছে ইডি। আগামি ৩০ ফেব্রুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহাজাহানের আবেদন নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। তবে শাহাজাহানের ইডির নোটিশ অনুসারে হাজিরা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। আগামি ২৬ ফেব্রুয়ারি তার জামিন সংক্রান্ত মামালায় দিন ধার্য হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি প্রস্তুত রয়েছে রেশন দুর্নীতি মামালায় তার বিরুদ্ধে সমস্ত নথি পেশ করার জন্য, সেই সঙ্গে কীভাবে ছক সাজিয়ে তার বাড়িতে ইডির ওপর তার অনুগামীদের দিয়ে হামলা চালিয়েছিল তারও প্রমানপত্র পেশ কোর্টে প্রস্তুত ইডি অফিসারেরা। তবে আইনি লড়াই যাই হোক। গ্রামবাসীরা চায় শাহাজাহানকে গ্রেফতার করা হোক এবং তিন জনকেই শাস্তি দেওয়া হোক। সন্দেশখালি নিয়ে তৃনমূলের তথা কথিত ‘পণ্ডিত’ মুখপাত্র যতই বিষয়টিকে লঘু করছেন, ততই রাজ্য সরকারের ভোট ব্যাঙ্কে আঘাত লাগছে। সেটা কি বুঝবেন দলের দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রী? ইভিএম নিউজ