ব্যুরো নিউজ, ১৬ ফেব্রুয়ারি: রাজ্য রাজনীতিতে চর্চায় সন্দেশখালির ঘটনা। গত একটা মাস ধরে সংবাদের শিরোনামে বারবার উঠে আসছে সন্দেশখালির নাম। সন্দেশখালির জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও করা হয়েছে মামলা। সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্যপাল বোস। এমনকি দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করার দায়িত্বও দিয়েছিল রাজ্য সরকারের হাতে। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। উল্টে যেনও আরও উত্তাপ বেড়েছে সন্দেশখালির আবহাওয়ায়।
সন্দেশখালি: পুলিশ যেনও বাধার প্রাচীর!
এই পরিস্থিতিতে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেশখালিতে পৌঁছায় জাতীয় তফসিলি কমিশন। কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। তারা সেখানকার মানুষের থেকে অভিযোগ শোনেন। তারা জানান, শাসকদলের প্রভাবশালী নেতাদের অত্যাচারের কথা। মহিলাদের অভিযোগ, তাদের সন্মান নিয়ে ছেলে খেলা চলছে। রাতের পর রাত তাদের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত। চলত অত্যাচার। এমনকি রাতের বেলা পার্টি অফিসে পিঠে বানানোর নাম করে নিয়ে যাওয়া হত। না গিয়ে কোনও উপায় থাকতো না। কারণ সব ক্ষমতা তাদের হাতে। এমনকি পুলিশও তাদের কেনা। পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ অভিযোগ নিতো না। উল্টে তৃণমূলের নেতাদের কাছেই পাঠানো হতো। তবে শুধু মহিলা নয়, পুরুষদের উপরেও চলত মারধোর-অত্যাচার।
আজ সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। জানা গিয়েছে, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করেছে জাতীয় তফসিলি কমিশন বা এসসি কমিশন। জাতীয় তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার জানান, তারা আইন মেনে রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দিয়েছেন। সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তবে সেখানে অনায়াসেই রাষ্ট্রপতি শাসন বলবৎ হতে পারে।
তিনি এও জানান যে, কোনও জায়গায় কমিশন গেলে, তার সমস্ত ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকে প্রোটোকল মেনেই করতে হয়। কিন্তু গতকাল সন্দেশখালিতে তা হয়নি। খুবই খারাপ পরিস্থিতি সেখানকার। বাংলায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। আইনিভাবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মতো পরিস্থিতি সেখানে তৈরি হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি পরিদর্শন করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সেই বিষয়ক রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় তফসিলি কমিশন। এছাড়া, কমিশনের চেয়ারম্যান ইনচার্জ বলেন, শুনানির জন্য আধিকারিকদের ডাকা হবে। না এলে গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়ারও ক্ষমতা রয়েছে বলে জানান তিনি। ইভিএম নিউজ