রাজীব ঘোষ, ৩ সেপ্টেম্বর: শেয়ারে বিনিয়োগের কিছু টিপস| কাজে লাগাতে পারে আপনারও। শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চাইলে স্টক মার্কেট সম্বন্ধে কিছুটা ধারণা নিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। এই প্রতিবেদনে শেয়ার মার্কেটে অন্ততপক্ষে কিছুটা নিরাপত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করে যাতে লাভবান হতে পারেন সেই বিষয়েই আলোচনা করা হবে।

যারা একটু আধটু স্টক মার্কেট সম্বন্ধে খোঁজখবর রাখেন, তারা বহু সময় এই শব্দটি শুনেছেন, ব্লু চিপ স্টক (Blue Chip Stock) কিন্তু বিস্তারিতভাবে অধিকাংশরাই জানেন না এই ব্লু চিপ স্টক আসলে কি?

শেয়ার কিনতে পারবেন ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল‍্যাটফর্মে

প্রথমেই বলে রাখা দরকার শেয়ার কিনতে গেলে লার্জ ক্যাপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করাই সঠিক পদ্ধতি। এই মুহূর্তে দেশের ১০০টি Large Cap Company রয়েছে। এদের শেয়ারের দাম তুলনায় বেশি। আর এই Large Cap কোম্পানিগুলোই হল ব্লু চিপ স্টক। দেশে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে লার্জ ক্যাপ কোম্পানিগুলো রয়েছে। ফলে তাদের Experience যথেষ্ট বেশি। মার্কেটে লার্জ ক্যাপ কোম্পানিগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টপ পজিশনে থাকে কিংবা এক, দুই বা তিন নম্বরের মধ্যেই রয়েছে। এবার যে টাকা কষ্ট করে উপার্জন করে বিনিয়োগ করতে চাইছেন, সেটি এমন কোনও কোম্পানির কাছে বিনিয়োগ করতে হবে, যেখান থেকে আপনি যথেষ্ট পরিমাণে লাভ পেতে পারেন। শেয়ার মার্কেটের নিয়মে সেই কোম্পানির শেয়ার কিনতে হবে, যে কোম্পানিগুলোকে আপনি চেনেন। এই বড় চেনা কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সেখানেই টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। সেই জন্যই বলা হচ্ছে, ব্লু চিপ স্টক বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার মার্কেটে নিরাপদ বিনিয়োগ।

ব্লু চিপ স্টকে ইনভেস্ট করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?

Blue Chip Stock কোম্পানিগুলো অন্যান্য ছোটখাটো কোম্পানির তুলনায় নির্ভরযোগ্য। এই কোম্পানিগুলো তাদের লভ্যাংশের টাকা প্রদান করতে সক্ষম। বিনিয়োগকারীকে ব্লু চিপ স্টক স্থিতিশীলতা দিয়ে থাকে। এটি বিনিয়োগকারীদের কাছে নিরাপদে বিনিয়োগের জায়গা বলা যায়।

যেহেতু ব্লু চিপ স্টক হলো কোম্পানির সুপ্রতিষ্ঠিত ও আর্থিকভাবে স্থিতিশীল স্টক, এই কোম্পানিগুলোর স্টক মার্কেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও শক্তিশালী আর্থিক ইতিহাস রয়েছে। ব্লু চিপ স্টকের মধ্যে কয়েকটি নাম বলা যেতে পারে। যেমন- Apple, Microsoft, Johnson& Johnson, Coca-Cola, Procter & Gamble

যদি এরকম কোনও কোম্পানির শেয়ার কিনে থাকেন যে কোম্পানি লাভ করতে পারে না, তাহলে লভ্যাংশ পাবেন না। কারণ শেয়ারের লাভ প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করে। তাই ব্লু চিপ স্টক কোম্পানিগুলোই ইনকামের স্থিরতা দিতে পারে। যেহেতু কষ্টের টাকা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করছেন, তাই নিরাপত্তার দিকটি একটু ভেবে দেখুন।

দেশে যেদিন লার্জ ক্যাপ কোম্পানিগুলো ডুবে যাবে, সেদিন জানবেন পুরো দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ডুবে যাবে। তাই আপনার স্টক পোর্টফলিওতে যদি ১০ থেকে ১৫ টা লার্জ ক্যাপ কোম্পানি থাকে তাহলে বিনিয়োগ লাভজনক হবে। নিরাপত্তার দিকটিও কিছুটা সুরক্ষিত থাকবে।

স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে Portfolio Diversification করতে পারেন। আর তার জন্য স্টক নিয়ে বিরাট খোঁজখবর নিতে হবে না। বিভিন্ন সেক্টরে পোর্টফোলিও ভাগ হয়ে যাবে। শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্টের ক্ষেত্রে পোর্টফলিও ডাইভারসিফিকেশন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। লং টার্ম ইনভেস্টমেন্ট করলে সব থেকে সুবিধা জনক। আর তার জন্য Large Cap কোম্পানিগুলিতে ভরসা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে যে ধরনের বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, তাতে এই লার্জ ক্যাপ কোম্পানি গুলোই শীর্ষে থাকবে।

এবার একটি কথা বলে রাখা দরকার, ব্লু চিপ স্টকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখতে হবে। এগুলো কোনওভাবেই শেয়ার মার্কেটের বাজার ওঠানামার থেকে মুক্ত নয়। অর্থাৎ অন্যান্য ক্ষেত্রে ঝুঁকি যেরকম রয়েছে এক্ষেত্রে তুলনামূলক হয়তো কম ঝুঁকি রয়েছে। তাই বাজারের উত্থান পতন এই ধরনের স্টকগুলির ক্ষেত্রেও থাকবে। বিনিয়োগ করার আগে নিজে দেখেশুনে বিনিয়োগ করবেন। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর