ব্যুরো নিউজ, ১৬ জানুয়ারি: শুধু পুরোহিতরাই স্পর্শ করতে পারেন রাম লালাকে: শঙ্করাচার্য
মন্দিরে বিগ্রহের প্রান প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্রপ্রধানের কাজ নয়। মন্দিরের গর্ভ গৃহে বিগ্রহকে স্পর্শের অধিকার ব্রাহ্মণ ছাড়া কারো নেই। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে নরসিমহা রাও মন্দিরে বিগ্রহের স্পর্শের অধিকার পাননি, যদিও তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন। রবিবার গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে এভাবেই তাঁর কড়া সমালোচনা করলেন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, রাম মন্দির এখনো অসমাপ্ত। সেখানে বিগ্রহ স্থাপন হচ্ছে। সব মিলিয়ে যা হচ্ছে তাতে হিতের বিপরীত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি বা কোন শঙ্করাচার্য মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লগ্ন স্থির করতে পারেন না। পুরহিতকে দিয়েই সেই নির্ঘণ্ট ঠিক করতে হয়। সনাতন ধর্মে নির্দিষ্ট নিয়ম ও প্রথা আছে। সেটাই মানা উচিৎ।
দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া প্রতিক্রিয়া
পুরীর শঙ্করাচার্জের সুরেই সুর মিলিয়েছেন উত্তরাখান্দের বদ্রিনাথের জ্যোতিষ পিঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেস্বরানন্দ। তাঁর ব্যাখ্যা মন্দির হলো দেবতার দেহ। মন্দিরের শিখর হলো সেই দেবতার চোখ। শিখরে বসানো কলস হলো দেবতার মস্তক। আর মন্দির শীর্ষে লাগান পতাকা হলো দেবতার চুল। ফলে অসমাপ্ত মন্দিরে দেবতার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়ে তাতে মন্দ হতে পারে বেশি। তবে পুরীর শঙ্করাচার্য জানিয়েছেন, তিনি ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ মন্দির দেখতে যাবেন। তবে রাজনীতির সঙ্গে ধর্ম মেশানোর চেষ্টা হলে তিনি যাবেন না। তবে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের আসা কাশীপিঠের শঙ্করাচার্য ঠিক বিপরীত মতামত পোষণ করে বলেন, রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হচ্ছে নির্ঘণ্ট মেনেই ও সেইসব স্থির করেছেন জ্যোতিষীরাই।
একইসঙ্গে পুরীর শঙ্করাচার্য গঙ্গাসাগর আয়োজনের জন্য প্রসংশা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। তিনি বলেন, সীমিত ক্ষমতার মধ্যে রাজ্য সরকারের যতটা করা উচিৎ সাগরমেলার আয়োজনে ততটাই করা হয়েছে। এখানে ধর্মাচরণের কোন হস্তক্ষেপ করা হয়নি। শঙ্করাচার্যদের এই সমালোচনায় রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসও শঙ্করাচার্যদের সমর্থনে বলেছে, পুরীর শঙ্করাচার্য যেখানে হিন্দু ধর্মে তথা অদ্বৈত বেদান্তের ধারক- বাহক তাঁরা ঠিকই বলবেন। বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেন, রাম মন্দির আন্দোলন ও মসজিদ ভাঙার সময় মুলায়েম সিং যাদবের পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। সেদিন কোন রামভক্ত পাশে ছিলেন তাও দেখা গিয়েছে। একসময় শঙ্করাচার্যরা ওই মন্দিরের জন্য প্রান দিয়েছেন। ইভিএম নিউজ