ব্যুরো নিউজ, ১৮ সেপ্টেম্বর: লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা | সর্বস্বান্ত কৃষক পরিবার
বেশ কয়েক বার ফোনে ম্যাসেজ, তার পরই কয়েক দফায় প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে গেল কৃষক। দফায় দফায় একাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাওয়া করলো প্রতারকেরা। এমনই সাইবার ক্রাইম জালিয়াতি শিকার হল গঙ্গাসাগরের একটি কৃষক।
শহরে ফের প্রতারণার ছক! টেলিগ্রামে প্রতারণা!
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গঙ্গাসাগরের নরহরিপুরের বাসিন্দা ভাস্কর দাস পেশায় কৃষক। দিন আনা দিন খাওয়া পরিস্থিতি। স্থানীয় একটি রাষ্ট্রত্ত্ব ব্যাঙ্কে নিজের কষ্টের সঞ্চয় টুকু জমিয়েছিল এই কৃষক। হঠাৎ ফোনে বেশ কয়েক দফা ম্যাসেজ ঢোকে এই কৃষকের। এরপর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাওয়া হয়ে যায়। কিছু না বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কে ছুটে যায় এই কৃষক। ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখে প্রতারকেরা বেশ কয়েক দফায় ইউপিআই ট্রানজেকশনের মাধ্যমে একাউন্ট থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়েছে।
অবশেষে সুন্দরবন পুলিশ জেলার জেলা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম শাখাতেও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এ বিষয়ে ওই কৃষক ভাস্কর দাস বলেন, “১ লা সেপ্টেম্বর আমার মোবাইলে বেশ কয়েক দফা মেসেজ ঢোকে। মোবাইল হাতে নিয়ে মেসেজগুলো দেখতেই আমার চক্ষু চরম গাছ। বেশ কয়েক বারে আমার একাউন্ট থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা তোলা হয়েছে। কীভাবে তোলা হলো তা আমি বুঝতে না পেরে মোবাইল নিয়ে তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কে গেলাম। ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারলাম ইউপিআই ট্রানজেকশনের মাধ্যমে আমার একাউন্ট থেকে প্রতারকেরা টাকা তুলে নিয়েছে। গঙ্গাসাগর থানাতে আমি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম শাখাতেও আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। একটু একটু করে জীবনের সঞ্চয় টুকু জমিয়ে ছিলাম রাষ্ট্রত্ত্ব ব্যাঙ্কে। জীবনের শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে পথে বসেছি”।
এই বিষয়ে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার তিনি বলেন, “বিষয়টি সামনে আসার পর আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কীভাবে কোথা থেকে এই টাকা তুলেছে প্রতারকেরা তা আমরা ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট নিয়ে খতিয়ে দেখছি। তদন্ত চলছে খুব শীঘ্রই অভিযুক্তরা গ্রেফতার হবে বলে আশা করছি”। কার্যত জীবনের শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে দিশেহারা কৃষক পরিবার। ইভিএম নিউজ
