ব্যুরো নিউজ, ২৮ সেপ্টেম্বর: রাজভবনের রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় পুলিশি নজরদারি কেন?
রাজভবনের রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় পুলিশি নজরদারির অভিযোগ। রেসিডেনসিয়াল এরিয়া থেকে ৫০ জন পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ, এমনটাই রাজভবন সূত্রে খবর।
লেক গার্ডেন্সের FCI গুদামে নজরদারি
দুই পুলিশের গতিবিধি দেখে সন্দেহ, রাজভবনের যে এলাকায় পোস্টিং নয়, সেখানে কেন ২জন পুলিশ? আর তারপরই সরকারের কাছে নালিশ। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মাঝে নতুন একটি ইস্যু, রাজভবনের আবাসিক এলাকায় পুলিশি নজরদারির অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে রাজভবন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যপালের অফিস ও রেসিডেন্সিয়াল অংশের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশ যেন সিআরপিএফ-এর হাতে হস্তান্তর করে। বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে রাজভবন।
রাজভবন তরফের বক্তব্য, রাজভবন চত্বর ও একেবার নীচের তলা কলকাতা পুলিশের অধীনেই থাকবে। রাজভবনের ভিতরে অনেকগুলি ভাগ রয়েছে। এক তলায় লাইব্রেরি, দোতলায় অফিস, তিন তলায় রাজ্যপালের রেসিডেন্সিয়াল এলাকা। রাজভবন তরফের বক্তব্য, রাজ্যপালের রেসিডেন্সিয়াল ও অফিসিয়াল এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়া হোক। রাজভবন চত্বর ও অন্যান্য এলাকা কলকাতা পুলিশের নজরেই থাকবে।
এতদিন পর্যন্ত রাজভবনের নিরাপত্তা ও নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্মী ও সিআরপিএফ। কিন্তু যে দু’জন পুলিশ কর্মীর গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, তাঁদের বিষয়ে লালবাজারে জানানো হয়। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। তবে লালবাজারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। বিষয়টি গড়িয়েছে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সার্চ কমিটি গঠন করছে শীর্ষ আদালত। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপাল একে অপরকে ‘রক্তচোষা ভ্যাম্পায়র’, ‘জুনিয়র অ্যাপয়ন্টি’ হিসাবে কটাক্ষও করেন। ইভিএম নিউজ