ব্যুরো নিউজ:  ‘যোগীর অস্ত্র’ দীঘায় প্রয়োগবুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল হোমস্টেগুলি

রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতির পাহাড় সামনে এসেছে। দুর্নীতিতে কখনো নাম এসেছে  নেতা মন্ত্রীদের, কখনো জড়িয়ে পড়ছেন প্রশাসনিক পদে থাকা আইপিএস অফিসাররা বিডিওরা। এবার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে আসলো। দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে রামনগর দু’নম্বর ব্লকে পুরুষোত্তমপুর গ্রামে তৈরি হয়েছিল চারটি হোমস্টে। লক্ষ্য ছিল মেয়েদের স্বনির্ভর করা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে লোন ও সাবসিডি নিয়ে হোমস্টেগুলি তৈরি করা হয়েছিল। আর এই হোমস্টেগুলির পরিকল্পনার মাথায় ছিল বিডিও। বিডিওর তরফ থেকে এই হোমস্টে তৈরি করার জন্য চাপ দেওয়া হতো। কিভাবে এই হোমস্টে তৈরি হবে কোথা থেকে কত টাকা লোন পাওয়া যাবে সব বিষয়ে পরিকল্পনা করে দেন বিডিও অফিসার প্রিতম সাহা। বলা যেতে পারে ওনার তত্ত্বাবধানেই তৈরি হয়েছিল এই হোমস্টে গুলি।

জানাযায়, ওই বিডিও অফিসার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকা মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প এই হোমস্টে সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।

পর্যটন দপ্তর থেকে ৫০০০০ টাকা, বিউটিফিকেশন এর জন্য মন্ত্রী সাধন পান্ডের কাছ থেকে ৫০০০০ টাকা দেওয়া হয়। আর এই সবকিছুর বন্দোবস্ত করে দেন বিডিও অফিসার প্রিতম সাহা। সাগর সঙ্গম হোমস্টে, শান্তিনির হোমস্টে এগুলি সবই মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া নাম এমনটাই জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।

সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে লোন নিয়ে করা হয়েছিল দুই কামরা বিশিষ্ট এই হোমস্টে গুলি। পরবর্তীকালে সেখানেই বসবাস করতেন হোমস্টের মালিকা। মালিক পক্ষের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প জেনেই এই হোমস্টে গুলির জন্য সরকারি লোন পেয়েছিলেন তারা। ফলে সরকার এখন আদালতের নির্দেশে এই হোমস্টে গুলি ভেঙে দিচ্ছে তাতে পথে বসতে চলেছেন তারা। যেহেতু হোমস্টে গুলিতে তারা বসবাস করছেন তাই পরিবার-পরিজন ও আসবাবপত্র নিয়ে এই মুহূর্তে তারা কোথায় যাবেন সে বিষয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হোমস্টে মালিকরা।

তবে বিডিও অফিসার প্রীতম সাহার এরূপ উদ্যোগ নেওয়া ও সরকারি পরিকল্পনা সম্পূর্ণ হওয়ার পর আবার বুলডোজার দিয়ে আদালতের নির্দেশে এভাবে ভেঙে দেওয়াতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন এলাকাবাসী। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর