মুসলিম

ব্যুরো নিউজ, ১০ নভেম্বর: মুসলিম মহিলার নামে পূজিত মা কালী

কালীপুজোকে উদ্দেশ্য করে দেখা গেলো হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রীতির অপূর্ব নিদর্শন । মালদার হাবিবপুর ব্লকে একজন মুসলিম মহিলার নামেই হয় কালীপুজো। মহিলার নাম শেফালি বেওয়া। তাই এটি শেফালি কালীপুজো নামেই পরিচিত। গ্রামবাসীরা সকলে এই পুজোয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন৷ জানা গিয়েছে, গ্রামে এই একটিমাত্র মুসলিম পরিবার, বাকিরা সকলেই হিন্দু। এই কালীপুজো শুরু হয়েছিল একজন মুসলিম মহিলার স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর থেকে। মালদার হাবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী অঞ্চলের মধ্যে কেন্দুয়া গ্রামের রেললাইন ঘেঁষা এই কালীর স্থান। শেফালি বেওয়া জানান, প্রায় বছর ৪৫ আগে তাঁর খুব অসুখ হয়েছিল। ওই সময় কোনও চিকিৎসক তাঁর রোগ ধরতে পারছিলো না। হঠাৎ সেই মহিলা স্বপ্নে দেখেন মা কালীর পুজো করলে তাঁর অসুখ সেরে যাবে।

গোবরজনা কালী মন্দিরের পুজোর প্রস্তুতি পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা

তিনি প্রথমে নিজেও হিন্দু দেবীর এই স্বপ্নাদেশ পেয়ে হতভম্ব হয়ে যান। এরপর স্বপ্নাদেশের কথা তিনি
গ্রামবাসীকে জানালে প্রথমে গ্রামবাসীরা কেউ এই কথা বিশ্বাস করতে চাননি। এরপর মুসলিম মহিলা কালী পুজো করবে এই কথা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা যায়, শেফালি দেবীর শরীরে ভর করে মা কালী, এই পুজো করার কথা বলেন৷ তা শুনেই শুরু হয় কালীপুজো। গ্রামে কারও অসুখ করলে বা কেউ কোনও বিপদে পড়লে, তখন তারা শেফালি দেবীর কাছেই ছুটে আসেন। যখন শেফালি দেবীর শরীরে মা কালী ভর করেন তখন তাঁদের অসুবিধার কথা জানালে তাঁদের সব অসুখ ও বিপদ দূর হয়ে যায় বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গ্রাম ছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই মায়ের কাছে ছুটে আসেন অনেক ভক্তরা। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে মা কালীর মূর্তি তৈরির কাজ। এই কালীর পুজো রেললাইনের ধারে ছোট একটা জায়গায় হয়ে আসছে। শেফালি নাম থেকে কালীর নাম হয়ে গিয়েছে শেফালি কালীপুজো।

গ্রামবাসীরাই মিলিতভাবে রেললাইনের ধারে মা কালীর একটি বেদি করে দিয়েছেন। সেখানে নিত্য মা কালীর    পুজো হয়। আর কালীপুজোর দিন মায়ের মূর্তি পুজো করা হয়। টানা ১৫ দিন ধরে এই পুজো চলে। তারপর সামনের পুকুরে মূর্তি বিসর্জন করে দেওয়া হয়। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর