চীন

ব্যুরো নিউজ, ১৭ নভেম্বর: মালদ্বীপ নিয়ে চীন-ভারতের টানাপড়েনের মাঝে চাপ বাড়ালেন মোদী

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন না নরেন্দ্র মোদী। এমনই খবর আসছে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্র থেকে। 'ক্ষমতায় এলে মালদ্বীপ থেকে প্রথমেই সরাবো ইন্ডিয়ান আর্মিকে'-এই স্লোগান দিয়েই পূর্ব প্রেসিডেন্ট সলিহকে নির্বাচনে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন মহম্মদ মইজ্জু। 
এমনকি ক্ষমতায় আসার পরও প্রথমে সেই ঘোষণাই করেছিলেন। কিন্তু যে কথা তিনি বলেননি এবার মহম্মদ মইজ্জু সেটাও করতে চলেছেন।
নৈরাজ্যের বাংলা! 

গত বেশ কয়েক বছর ধরে মালদ্বীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সেনার ৭০-৭৫ জন জওয়ান। ২০১০ ও ২০১৩ সালে মালদ্বীপকে দুটি হেলিকপ্টার উপহার দিয়েছিল ভারত। এরপর ২০২০ সালে তাদের একটি ছোট এয়ারক্র্যাফট-ও দেওয়া হয়।

বলা হয়েছিল, মালদ্বীপে উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযান চালাতে এবং আপদকালীন মেডিকেল ইভ্যাকুয়েশনে এগুলো ব্যবহার করা হবে। সেই সঙ্গে সেখানে মোতায়েন রয়েছে পিএলএ আর্মিও। মহম্মদ মইজ্জুর দাবি, তিনি চান না তাদের দেশে অন্য কোনও দেশের আর্মি থাকুক। কিন্তু কেন?

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে দিয়ে যে জাহাজ চলাচলের রুট বা শিপিং লাইনগুলো আছে তার মাঝামাঝি খুব স্ট্র্যাটেজিক অবস্থানে মালদ্বীপ। এই মালদ্বীপ দীর্ঘকাল ধরেই ভারতের প্রভাব বলয়ে ছিল। দিল্লি ভারত মহাসাগরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশে তাদের নজরদারি বা মনিটরিং করেছে। এদিকে চীনও কোনও শর্ত ছাড়াই মালদ্বীপে টাকা ঢেলেছে।

চীন মালদ্বীপের যে মেগা-প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করছে। তার অন্যতম হল ২.১ কিলোমিটার লম্বা একটি সেতু। যা রাজধানী মালের সঙ্গে পাশের একটি অন্য দ্বীপে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সংযুক্ত করছে। কিন্তু কূটনৈতিক মহলের একাংশের দাবি চীনকে নিয়ে বর্তমানে মইজ্জু যা বলছেন সেটা লোক দেখানোও হতে পারে।

মহম্মদ মইজ্জু শুরু থেকে চীনপন্থী নেতা হিসেবেই পরিচিত। যদিও মইজ্জুর দাবি, তিনি আসলে মালদ্বীপপন্থী। তারা সমস্ত দেশ, ভারত, চিন এবং অন্যান্য সমস্ত দেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায়। আবার এটাও হতে পারে মইজ্জু চাইছেন না ভারত-চীন দ্বন্দ্বে মালদ্বীপের মতো ছোট্ট দেশ জড়িয়ে পড়ুক।

এক সাক্ষাত্‍কারে মইজ্জুর সাফ কথা ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়ার জন্য মালদ্বীপ খুবই ছোট। ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের অবস্থান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ, সে কথা অস্বীকার না করলেও এই বিষয়ে মউজুর মন্তব্য, আমি এই বিষয়ে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র নীতিকে জড়াতে আগ্রহী নই।

এদিকে জানা যাচ্ছে দিন সাতেক আগে মইজ্জু নিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়ে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না।

প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজুজু শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা অবশ্য কেন প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন না সেই সিদ্ধান্তের কোনও ব্যাখ্যা দেননি। মন্ত্রক বলেছে ভারতের বিদেশ নীতির এই অবস্থান মালদ্বীপের প্রতিও সমানভাবে প্রযোজ্য। ভারত প্রত্যাশা করে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। এবার দেখার মইজ্জু যে কথা মুখে বলছেন চীনের ক্ষেত্রে সে কাজ তিনি বাস্তবে করেন কিনা। সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর