মায়ের

ব্যুরো নিউজ, ২৩ অক্টোবর: মায়ের হাতে মায়ের পুজো!  

মায়ের হাতে মায়ের পুজো! এবার মালদহের বামনগোলা ব্লকে পাকুয়াহাট এলাকায় রায় বাড়ির দুর্গাপুজোয় পুজো করছেন মহিলা পুরোহিত।

সাড়ে চারশো বছরের পুরনো রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়ীর পুজো

এবছর বাংলায় প্রথম কোনও মহিলা পন্ডিতা দ্বারা দুর্গাপূজা সম্পূর্ণ হচ্ছে। ষষ্ঠী, সপ্তমী অতিক্রম করে অষ্টমীর পুজো হয় মহিলা পন্ডিত দ্বারা। দেবীর হাতে অশুভ শক্তি বিনাশ করে। নারীশক্তির জয়গান। মহাষ্টমীতে পুজোর রীতি রয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে মহিলা পুরোহিত দ্বারা দুর্গাপুজো।

প্রতিবছর নিয়ম মেনে পুজো হয়ে থাকে, তবে এবার হিন্দুশাস্ত্রে নজিরবিহীন ও বিরল ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমবার কোনও মহিলা পুরোহিত পুজো করেন রায় বাড়ির

ভারত সেবা আশ্রমের নটরাজ নামক একটি সংস্থায় দুর্গা পুজোয় পৌরহিত্যের হাত ধরে নারী জাগরণের সূচনা!

জানা গিয়েছে, গত বছর পুজোর অভিজ্ঞ পুরুষ পুরোহিত এই বছর অন্য কোন জায়গায় পুজো করছেন। তাই পরিবারের মহিলা পুরোহিত দিয়ে পুজো করানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে, বাঙালি বিয়েতে মহিলা পুরোহিতের চল শুরু হয়েছে। বিষয়টি যেমন অভিনব তেমন নারীর অধিকার ও ক্ষমতারও বিকাশ ঘটেছে।

এবারের দুর্গাপুজোয় মহিলা পুরোহিতে পুজো ঘিরে উৎসাহ বেশ চোখে পরার মতো। রায় পরিবারের তরফে শুক্লা বিশ্বাস রায় জানিয়েছেন, দুই মহিলা সীমা হালদার বাইন, ও টুম্পা রানী মন্ডল। এই দুই মহিলাই হলেন পণ্ডিত। তার বাড়ির এই পুজো করছেন সমস্ত নিয়ম মেনে পুজো হচ্ছে। তারা মহিলা পুরোহিত পেয়ে খুব খুশি।আগামীতে আরও বড় জায়গায় এগিয়ে যাক এটাই আমরা চাই। বলে জানান তিনি।

যাঁরা হিন্দু শাস্ত্রে অন্যতম উদাহরণ তৈরি করেছেন। প্রতিটি মহিলাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত, কেউ অধ্যাপিকা, কেউ আবার দেবীর উপাসক। তিনি আরও বলেন নারী হওয়ায় পুজোর করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এমন ভাবাটা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শোভা পায় না। মহিলারা কি গৃহস্থ ও পুজোর নানান অনুষ্ঠানে সবরকম ব্যবস্থা করেন না? দেবী হিসেবে যাঁকে পুজো করছি, তিনিও একজন নারী। জানান রায় পরিবারের সদস্য শুক্লা বিশ্বাস রায়। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর