ভিটামিন ডি সম্পর্কে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ

তবে এর উপকারিতা হাড়ের বাইরেও বিস্তৃত। ভিটামিন ডি এতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:

• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: এটি আপনার শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সমর্থন করতে সহায়তা করে।
• পেশী কার্যকারিতা: পেশী সঠিকভাবে কাজ করার জন্য এটির প্রয়োজন হয় এবং বয়স্কদের পেশী শক্তি বজায় রাখতে এবং পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
• স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: এটি স্নায়ুর কার্যকারিতার সাথে জড়িত এবং জ্ঞানীয় স্বাস্থ্য এবং এমনকি মেজাজ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখতে পারে, কিছু গবেষণায় কম ভিটামিন ডি এবং বিষণ্নতার মধ্যে যোগসূত্র দেখা গেছে।

রহস্য ঘেরা মৃত্যু: আরজি কর আন্দোলনের মুখ, এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, উঠছে নানা প্রশ্ন

২. সূর্যের আলো ছাড়াও অন্যান্য উৎস রয়েছে: যদিও সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর একটি প্রাথমিক উৎস (আপনার ত্বক ইউভিবি রশ্মির সংস্পর্শে এলে ভিটামিন ডি৩ তৈরি করে), তবে এটি পাওয়ার একমাত্র উপায় নয় এবং শুধুমাত্র সূর্যের আলোর উপর নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে (যেমন ত্বকের ক্যান্সার)। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে:

• চর্বিযুক্ত মাছ: স্যালমন, ম্যাকেরেল, সার্ডিন এবং ট্রাউট ভিটামিন ডি-এর চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস।
• ফর্টিফাইড খাবার: অনেক সাধারণ খাবারে ভিটামিন ডি যোগ করা হয়, যেমন দুধ, সকালের নাস্তার সিরিয়াল, কমলার রস এবং কিছু উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধ (সয়া, বাদাম, ওটস)।
• ডিমের কুসুম: একটি ছোট কিন্তু উপকারী উৎস।
• মাশরুম: কিছু মাশরুম, বিশেষ করে যেগুলি ইউভি আলোর সংস্পর্শে আসে, সেগুলিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকতে পারে।
• সাপ্লিমেন্টস: ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট ব্যাপকভাবে উপলব্ধ এবং যারা সূর্য বা খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পান না তাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে কম সূর্যালোকযুক্ত অঞ্চলে শরৎ ও শীতকালে। কড লিভার অয়েল আরেকটি শক্তিশালী সম্পূরক উৎস।

৩. অভাব সাধারণ, এবং লক্ষণগুলি সূক্ষ্ম হতে পারে: ভিটামিন ডি-এর অভাব আশ্চর্যজনকভাবে ব্যাপক, এবং প্রায়শই, লোকেরা বুঝতেও পারে না যে তাদের এটি আছে কারণ হালকা ক্ষেত্রে লক্ষণগুলি অস্পষ্ট বা অনুপস্থিত হতে পারে। তবে, অভাবের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে থাকতে পারে:

• ক্লান্তি এবং সাধারণ অবসাদ
• হাড়ে ব্যথা বা যন্ত্রণা
• পেশী ব্যথা এবং দুর্বলতা (বিশেষ করে উপরের বাহু এবং উরুতে)
• ব্যথার প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি
• মেজাজের পরিবর্তন, যার মধ্যে দুঃখ বা বিষণ্নতার অনুভূতি
• চুল পড়া
• সহজে অসুস্থ হওয়া (দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে)

কিছু গোষ্ঠীর অভাবের ঝুঁকি বেশি, যার মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তিরা (বয়সের সাথে ত্বকে কম ভিটামিন ডি তৈরি হয়), যাদের ত্বক গাঢ় (যা বেশি প্রাকৃতিক সূর্য সুরক্ষা দেয়), বুকের দুধ খাওয়ানো শিশু, চর্বি শোষণে সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিরা (যেমন ক্রোনস বা সিলিয়াক রোগ), এবং যারা গৃহবন্দী বা খুব কমই সূর্যের সংস্পর্শে আসেন। যদি আপনি অভাবের সন্দেহ করেন, একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষা আপনার ভিটামিন ডি মাত্রা নিশ্চিত করতে পারে।

৪. মাত্রা গুরুত্বপূর্ণ, এবং অতিরিক্ত গ্রহণ ক্ষতিকারক হতে পারে: ভিটামিন ডি অপরিহার্য হলেও, এটি একটি চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন, যার অর্থ এটি শরীরে জমা হয় এবং অতিরিক্ত গ্রহণ ক্ষতিকারক হতে পারে (যা হাইপারভিটামিনোসিস ডি বা ভিটামিন ডি বিষাক্ততা নামে পরিচিত)।

গ্রীষ্মে স্ট্রোক থেকে বাঁচতে পান করুন এই স্বাস্থ্যকর পানীয়, ৫ টি পানীয় তৈরির রইল সহজ রেসিপি

• দৈনিক প্রস্তাবিত পরিমাণ (RDA):

  • শিশুরা (০-১২ মাস): ৪০০ আইইউ (আন্তর্জাতিক একক)
  • শিশু (১-১৩ বছর): ৬০০ আইইউ
  • কিশোর (১৪-১৮ বছর): ৬০০ আইইউ
  • প্রাপ্তবয়স্ক (১৯-৭০ বছর): ৬০০ আইইউ
  • প্রাপ্তবয়স্ক (৭১+ বছর): ৮০০ আইইউ
  • গর্ভবতী/স্তন্যদানকারী ব্যক্তি: ৬০০ আইইউ

• সর্বোচ্চ সীমা: বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পূরক থেকে প্রতিদিন ৪,০০০ আইইউ (১০০ মাইক্রোগ্রাম) এর বেশি ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত নয়, যদি না কোনও স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার দ্বারা পরামর্শ দেওয়া হয়। ১-১০ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিদিন ২,০০০ আইইউ (৫০ মাইক্রোগ্রাম) এর বেশি হওয়া উচিত নয়। দীর্ঘ সময় ধরে অত্যধিক উচ্চ মাত্রা গ্রহণ করলে রক্তে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে (হাইপারক্যালসেমিয়া), যা হাড়কে দুর্বল করতে পারে এবং কিডনি ও হার্টের ক্ষতি করতে পারে।

আপনার ব্যক্তিগত ভিটামিন ডি-এর প্রয়োজন নির্ধারণ করতে এবং উপযুক্ত সম্পূরক নিয়ে আলোচনা করতে সর্বদা একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা ভাল, বিশেষ করে যদি আপনার অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যগত অবস্থা থাকে বা আপনি উচ্চ মাত্রা বিবেচনা করছেন।