ব্যুরো নিউজ, ৬ নভেম্বর: ভারতীয় নিউরোলজিস্টের ঝুলিতে 'বিশ্বসেরার খেতাব'
শরীরের রোগপ্রতিরোধ করার ক্ষমতা যখন শরীরের মাংস পেশীর বিরুদ্ধে কাজ করে, তখন তা এক গভীর অসুখে রূপান্তরিত হয়। যার নাম, মায়োসাইটিস। এই রুগীদের হৃদযন্ত্র ও অটোনমিক সিস্টেম নিয়ে গবেষণা করে বিশ্বের সেরা নিউরোলজি গবেষক হিসাবে খেতাব পেলেন ডাঃ এম এম সামিম।
খালি পায়ে রামলালার মূর্তি নিয়ে এসে গর্ভগৃহে স্থাপন করবেন মোদী
ডাঃ সামিম ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অফ নিউরোলজি’ দ্বারা সম্মানিত বিশ্বের সেরা তিনটি বেস্ট ক্লিনিক্যাল পেপার অ্যাওয়ার্ড প্রাপকের মধ্যে ভারতের এক মাত্র প্রাপক। বাকি দুজন ব্রাজিল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। উল্লেখ্য ডাঃ এম এম সামিম বর্ধমান মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন।
নিউরোলজি সম্পর্কে আলোচনা এবং নতুন নতুন গবেষণা জানতে এবং জানাতে প্রতি দু’বছর অন্তর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের আয়োজন করে ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ নিউরোলজি’। কনফারেন্সে হাজির হন নিউরোলজিস্ট এবং নিউরো সায়েনটিস্টরা। নার্ভের নতুন কী কী সমস্যা আসছে এই নিয়ে আলোচনায় প্রায় ৭ হাজার নিউরোলজিস্ট ও নিউরো সায়েনটিস্ট অংশগ্রহণ করেন।
এ বছর কানাডার মনট্রিয়েল শহরে গত ১৫ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে সমস্ত দেশের নিউরোলজি বিষয়ে রিসার্চ, ক্লিনিক্যাল পেপার জমা দেওয়া হয়। পরে সেগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ‘বেস্ট ক্লিনিক্যাল পেপার অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। তিনজনের মধ্যে ভারতের একজনকে সফল গবেষণার জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়। তিনি হলেন ব্যাঙ্গালোরের নিমহান্স হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. সামিম।
মাইয়োসাইটিস নিয়ে কীভাবে গবেষণা করলেন ?
ডা. সামিম তাঁর ডিএম ডক্টরাল থিসিস হিসেবে ব্যাঙ্গালোরের নিমহান্সের প্রখ্যাত পেশি বিশেষজ্ঞ ডা. এ নালিনী-এর টিম। ওই শহরের হার্টের হাসপাতাল শ্রী জয়দেবা কার্ডিয়াক হাসপাতালের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেন। মায়োসাইটিস রোগের হার্ট এবং অটোনোমিক সিস্টেমের কী কী সমস্যা হয়, (যা পূর্বে অনেকাংশে অজানা ছিল) এবং তা কীভাবে তাড়াতাড়ি নির্ণয় করা যায়, তার উপর গবেষণা করেন। এই গবেষণার সারাংশ যা, কিভাবে এই রোগ আরো তাড়াতাড়ি নির্ণয় করে, যথা শীঘ্র চিকিৎসা করা যাই তা নিয়ে। যা ভারত তথা বিশ্বের মানুষের জন্য কল্যাণক।
ডা. সামিম জানান, ২০১৬ সালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে গোল্ড মেডেল নিয়ে প্রথম হয়ে এমবিবিএস পাস করেন। এরপর অল ইন্ডিয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করে নিমহান্সের প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হয়ে সরাসরি নিমহান্সে ডিএম ভর্তির সুযোগ পান। বর্তমানে নিমহান্স ব্যাঙ্গালোরের ডিপার্টমেন্ট অব নিউরোলজিতে কর্মরত। সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ
নিউরোলজিস্ট
