ব্যুরো নিউজ ২৪ জুন:
মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম, যা “নীরব ঘাতক” নামে পরিচিত, এক অপ্রত্যাশিত ও মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। মস্তিষ্কের রক্তনালীর দুর্বল অংশ বেলুনের মতো ফুলে ওঠে এবং ফেটে গেলে মস্তিষ্কে রক্তপাত ঘটায়, যা সাবঅ্যারাকনয়েড রক্তক্ষরণ নামে পরিচিত।
কেন “নীরব ঘাতক”? এর প্রধান কারণ হলো, ফেটে যাওয়ার আগে এটি কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষণ প্রকাশ করে না। ছোট অ্যানিউরিজম দীর্ঘদিন উপসর্গহীন থাকতে পারে। কিন্তু ফেটে গেলে হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা, বমি, ঘাড় শক্ত হওয়া, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা কোমাও হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু নিরামিষ মুগ বেগুন, আজই বানিয়ে ফেলুন!
বিপজ্জনক কেন?
- লক্ষণহীনতা: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফেটে যাওয়ার আগে কোনো উপসর্গ থাকে না।
- হঠাৎ বিস্ফোরণ: কোনো পূর্ব সংকেত ছাড়াই রক্তক্ষরণ হয়, যা মস্তিষ্কের কোষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
- মারাত্মক পরিণতি: স্ট্রোক, স্থায়ী মস্তিষ্কের ক্ষতি, পক্ষাঘাত, এমনকি তাৎক্ষণিক মৃত্যুও হতে পারে। ফেটে যাওয়া অ্যানিউরিজমের ক্ষেত্রে প্রায় ৫০% ক্ষেত্রে মৃত্যু ঘটে।
- পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি: একবার ফেটে গেলে দ্বিতীয়বার ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- শনাক্তকরণের অসুবিধা: লক্ষণ না থাকায় নিয়মিত পরীক্ষায় ধরা পড়া কঠিন।
- মেথি বীজ শুধু রান্নাঘরের মসলা নয় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এক আশীর্বাদ!কিভাবে জানুন
ঝুঁকিপূর্ণ কারা? উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, পারিবারিক ইতিহাস এবং নির্দিষ্ট কিছু জন্মগত ত্রুটি এই ঝুঁকি বাড়ায়। ৪০-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়।
করণীয় কী? নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। পারিবারিক ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্ক্রিনিং করানো যেতে পারে। সচেতনতা ও সময়োচিত পদক্ষেপ এই নীরব ঘাতক থেকে রক্ষা করতে পারে।