ব্যুরো নিউজ, ১৪ নভেম্বর: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের বিরাট কর্মসূচি | অংশগ্রহণ করবেন মোদী-মমতা!
আগামী ২৪ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তির দিন ব্রিগেডে লক্ষ্য কন্ঠে গীতা পাঠের কর্মসূচি। এই কর্মসূচি নিয়েছে বিভিন্ন সনাতনী সংগঠন। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। তবে জানা যাচ্ছে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই বিষয়ে কিছু জানা না গেলেও আয়োজকরা এমনটাই দাবি, এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। আয়োজকদের দাবি, মোদীর এই সফর একরকম পাকা।
রোহিঙ্গাদের পাচার করে জঙ্গি তৈরির ছক! বিস্ফোরক তথ্য NIA-র হাতে
এই কর্মসূচির মূল উদ্যোক্তা অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদ নামে একটি সংগঠন। এই সংগঠনের সঙ্গে রয়েছে বাংলার বিভিন্ন মঠ ও মন্দির সংগঠনের সভাপতি তথা ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসীরা। তাঁদের দাবি, এই কর্মসূচি সকলের জন্য। কোনো রাজনীতি নয়, মানব কল্যাণের লক্ষ্য নিয়ে এই অনুষ্ঠান।
আয়োজকরা প্রথমে ঠিক করেছিলেন রাষ্ট্রপতি সেখানে আসবেন। পরে তারা প্রধানমন্ত্রীর কথা ভাবেন। সব ঠিক থাকলে মোদী ওই দিন অনুষ্ঠানে থাকবেন বলে তাদের দাবি। সকলের সঙ্গে গীতা পাঠেও অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে গীতাপাঠের কর্মসূচির বিষয়ে আয়োজকরা জানান, কমপক্ষে এক লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। সমবেত কন্ঠে গীতা পাঠ করবেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষ। এর আগে সারা বিশ্বে কোথাও কখনো এই ভাবে গীতাপাঠ নিয়ে এত বড় মাপের আয়োজন হয়নি।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তারা আরও জানান, রাজ্যে সনাতন ধর্মের যত সংগঠন, আশ্রম, সংঘ রয়েছে তাদের সকলকে যোগদানের আবেদন জানিয়েছেন তারা। সব রাজনৈতিক দলের সাংসদ, বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানাবেন। জগদ্ধাত্রী পুজো মিটলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানাবেন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানে সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। গীতায় যা বলা হয়েছে তাতে প্রত্যেক মানবকে সংযম, শৃঙ্খলা পরায়ন ও চরিত্রবান হয়ে উঠতে সহায়তা করে। নির্দিষ্ট ধর্ম বা জাতির সীমানার বাইরে সমগ্র মানবতার জন্য দিব্যজ্ঞান দেয়। দুঃখ, বেদনা, অবসাদ, ঘৃণার মনোভাব থেকে মুক্তি দেয়।
পুরীর শংকরাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী, দ্বারকার শংকরাচার্য সদানন্দ সরস্বতী উপস্থিত থাকবেন বলে সম্মতি জানিয়েছেন। মোট ৩৬০০ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে লিখিত সম্মতি দিয়েছে বলে আয়োজকরা দাবি করেছেন। এছাড়াও আরো বেশ কিছু সংগঠন তাড়াতাড়ি এই বিরাট কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হবে বলেও জানান তারা। অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে সকাল দশটা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে।তবে গীতার ১৮টি অধ্যায় হলেও সেদিন পাঁচটি অধ্যায়ের পাঠ হবে। সেই পাঠগুলি বাছাই করে ইতিমধ্যেই সব সংগঠনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ