ব্যুরো নিউজ, ৬ ডিসেম্বর: ব্যাক্তিগত জিনিস ফেরতের আশায় মরিয়া মানিক
গতকাল ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়োগ দুর্নীতির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে আজ সশরীরে আদালতে পেশ করা হয়েছে। সেই শুনানি চলাকালীনই তিনি নিজের আংটি, মাদুলি, পৈতে সহ ৬-৭ টি ব্যাক্তিগত জিনিস ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
মানিক বিচারককে বলেন, ১০ ই অক্টোবর অর্থাৎ প্রায় ১ বছর আগে তাঁকে যখন গ্রেফতার করা হয় সেই সময় তিনি ইডির অফিসেই ছিলেন। সেই সময় তাঁর কিছু ব্যক্তিগত জিনিস যার মধ্যে আংটি, মাদুলি, পৈতে এরকম ৬-৭ টি জিনিস গভীর রাতে ইডি অফিসার মিথিলেশ মিশ্র, বিজয় কুমার ও সুরেন্দ্র কুমার মানিকের কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছিল। ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেগুলি তাঁরা নিয়ে নেয়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে সেই জিনিসগুলো ফেরত দেওয়া হবে বলা হয়েছিলো কিন্তু সেই জিনিসগুলো মানিককে ফেরত দেওয়া হয়নি।
খিচুড়ি খেয়ে মৃত্যু | মৃতের স্ত্রীকে চাকরির নিয়োগপত্র
মানিক আরও অভিযোগ করেন যে, এই জিনিসগুলো সিজার লিস্টে সিজার বলে দেখানো হয়নি ও তাঁর কাছ থেকে এই জিনিস গুলো যে নেওয়া হয়েছে তার বেসিসে কোনো ডকুমেন্টসও তাঁকে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি এর আগেও একাধিকবার যখন তিনি আদালতে এসেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিক থেকে শুরু করে পিপিকে (সরকারি আইনজীবীকে) তিনি জানিয়েছিলেন কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। ফলে আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতের মাননীয় বিচারকের কাছে তিনি আবেদন করেন সেই সমস্ত ব্যাক্তিগত জিনিসগুলো ফেরত পান।
বিচারক মানিক ভট্টাচার্যকে বলেন, নির্দিষ্ট জায়গায় ফের আবেদন করতে হবে। মানিক ভট্টাচার্য এরপরে জানায়, এই তিনজন ইডি অফিসারের মধ্যে একজন ইডি অফিসার বদলি হয়ে গেছেন। বাকিরাও যদি বদলি হয়ে যান তার ব্যক্তিগত জিনিস পাওয়াটা অসুবিধা হবে। যেহেতু এই জিনিসগুলো সিজার করা হয়নি তাই এই জিনিসগুলো পেতে মরিয়া তিনি। ইভিএম নিউজ
