ব্যুরো নিউজ, ২২ নভেম্বর: বীরভূমে অনুষ্ঠিত হোলো ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘নবান্ন’
“নবান্ন” শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন” বা “নব অন্ন”। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত বাংলার অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোথাও মাঘ মাসেও নবান্ন উদ্যাপনের প্রথা রয়েছে।
জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মানবিক মুখ
নবান্ন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ধানের বা পিঠের উৎসব। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়, নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম। রাজ্যের প্রায় সব জায়গাতেই এই উৎসবে মাতোয়ারা বঙ্গবাসী।
এদিন দেখা যায় বীরভূমের বক্রেশ্বরে চিরাচরিত প্রথা মেনে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। বক্রেশ্বর বাবার পিঠস্থান মহিষীমদ্দিনী দুর্গা মায়ের মন্দিরে প্রতিবছর ৫ ই অঘ্রাণ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়। এখানে চাক্ষুষ দেখা যায় ভক্তদের সমাগম। দূর দুরান্ত থেকে এসে নবান্ন উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে বঙ্গবাসী। আমাদের প্রতিনিধিরা বীরভূমের বক্রেশ্বরে পৌঁছে গিয়েছিল আর সেখানে তাদের সাথে কথাও বলেন। নানান পুজোর সামগ্রী দিয়ে নবান্নে নতুন চাল সহকারে গ্রামবাসীরা এই পুজো করে থাকে। তারা জানান, এই পুজো না করা পর্যন্ত কোন নতুন অন্য তারা গ্রহণ করে না। ইভিএম নিউজ