ব্যুরো নিউজ, ৫ ডিসেম্বর: বিপদ বাড়ছে ‘কাকু’ র
তাঁর ‘বস’ কে কেউ ছুঁতে পারবে না। কারন তিনি ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কারো ফোন ধরেন না। অচেনা অজানা কারো সঙ্গে দেখাও করেনা। তাই তাঁর কাছে এসেই তদন্ত থেমে যাচ্ছে। এভাবে ইডি ও সিবিআইকে কার্যত বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। আবার এজেন্সির ডাক পেয়ে ঢোকার সময় বলে গিয়েছিলেন তদন্ত সেরে বেরিয়ে এসে অনেক কিছুই নাকি বলবেন। কিন্তু সেই সুযোগ আর ঘটেনি। সেই যাওয়াই যাওয়া। আর বেরলেন না। গ্রেফতার হয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আর গ্রেফতারের পরেই তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। এর মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রীর। বাইপাস সার্জারি হয়েছে কালীঘাটের কাকুর।
এবার তাঁর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টায় এজেন্সি। এ ব্যাপারে জোকা ই এস আই হাসপাতালে ৪ চিকিৎসককে নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ওই মেডিকেল বোর্ডই গলার স্বরের নমুনা পরীক্ষা করবে। ৪ চিকিৎসকের নামও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইডির কাছে। কালীঘাটের কাকু বহুদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন সংলগ্ন হরিশ ছাত্তেরজি ষ্ট্রীটে দলীয় অফিসে থাকতেন। কাকু সান্টু নামে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। ভালো নাম সুজয়কৃষ্ণ বললে কেউই চিন্তে পারতেন না। বেহালায় জমি দখল করে বাড়ি করার অভিযোগ রয়েছে সান্টু কাকুর নামে। খবরদারি ও করতেন সবার উপর। কারন তিনি ভাইপোকে ছোটবেলা থেকেই দেখভাল করতেন।
এর পরেই কালীঘাটেই ভাইপোর অফিসেই থাকতেন। আর সুযোগ পেলেই দলের নেতা কর্মীদের ছোট বড় কথা বলতেন। কারোর কিছু বলার সাহস ছিল না। কারন তিনি ‘ভাইপোর’ কাছের লোক। কিন্তু ধরা পরার পরেই বেলুন চুপসে গিয়েছে। টেলিফোনে কাদের সাথে কি কথা বলেছেন, সেই সবই রয়েছে ইডির হাতে। এবার কণ্ঠস্বর মেলানোর পালা। তিনি এসএসকেএম- এ ভর্তি। কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে নাকি বাঁধা দিচ্ছে এসএসকেএমের তাঁর চিকিৎসকেরা। কাকুর অবস্থা সরজমিনে দেখতেই ইডির অফিসারেরা গিয়েছিলেন হাসপাতালে। পিজির চিকিৎসকদের কাণ্ড কারখানায় বহুদিন আগেই সংশয় প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। ইভিএম নিউজ