ব্যুরো নিউজ ২ অক্টোবর: বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ধীরে ধীরে আরও উঁচু হচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা এখন ৮.৮৫ কিলোমিটার। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘নেচার জিওসায়েন্স’ জার্নালের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, এভারেস্টের উচ্চতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেটগুলির ঘর্ষণের ফলে গত ৫ কোটি বছর ধরে হিমালয় পর্বতমালা উঁচু হচ্ছে, তবে বিজ্ঞানীরা এবার বলছেন যে, এভারেস্ট আরও দ্রুত গতিতে বাড়ছে, যা তাদের কাছে অকল্পনীয়।
অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরির স্বাধীনতা হারানোর আক্ষেপ
কি জানাছেন বিজ্ঞানীরা
বেজিংয়ের চায়না ইউনিভার্সিটি অফ জিওসায়েন্সেস-এর বিজ্ঞানী এবং এই গবেষণার প্রধান, জিন-জেন দাই জানান, স্থানীয় নদীর গতিপথ পরিবর্তন এভারেস্টের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রায় ৮৯ হাজার বছর আগে কোশী ও অরুণ নদী মিলিত হওয়ার পর এভারেস্টের উচ্চতা ১৫ থেকে ৫০ মিটার বেড়েছিল। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘আইসোস্ট্যাটিক রিবাউন্ড’।দুই নদীর মিলনের ফলে ভূমিক্ষয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা প্রচুর পরিমাণ মাটি এবং পাথর সরিয়ে নেয়। এই কারণে মাটির নিচের অংশ বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, যখন জলে একটি বড় মালবাহী জাহাজ থাকে, তখন ছোট নৌকোটি উপরে উঠতে শুরু করে—একদম তেমনই। গবেষণা বলছে, এই আইসোস্ট্যাটিক রিবাউন্ডের কারণে প্রতি বছর এভারেস্টের উচ্চতা ১০ শতাংশ বেড়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ০.০১-০.০২ ইঞ্চি।এছাড়া, ঝড়, বৃষ্টি, এবং বন্যার ফলে তৈরি হওয়া ভূমিক্ষয়ও এভারেস্টের উচ্চতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। একই প্রক্রিয়ায় লোৎসে এবং মাকালু শৃঙ্গের উচ্চতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাকালু শৃঙ্গ, অরুণ নদীর কাছে অবস্থিত হওয়ায়, এভারেস্টের থেকে দ্রুত উঁচু হচ্ছে।
ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ: কে হচ্ছেন সম্ভাব্য নেতৃত্ব?
গবেষণার অন্যতম অধ্যাপক, অ্যাডাম স্মিথ, লন্ডন কলেজের পড়ুয়া, জানান, ‘GPS-এর মাধ্যমে জানা গেছে এভারেস্টের উচ্চতা কত দ্রুত বাড়ছে। ভূমিক্ষয় হওয়ায় আইসোস্ট্যাটিক পদ্ধতিতে উচ্চতা বাড়তেই থাকবে।’এই গবেষণা প্রমাণ করে যে, মাউন্ট এভারেস্টের মতো শৃঙ্গগুলোও জিওলজিক্যাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তনশীল। পৃথিবী ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং এটি প্রতিদিনের ছোট ছোট ঘটনার মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে।