ব্যুরো নিউজ, ২০ ডিসেম্বর: বালুকে নিয়ে বিস্ফোরক কাউন্সিলরের স্বামী! স্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা!
‘কলিন্স ইনস্টিটিউট’- এর খ্রীষ্টমাস উদযাপন
বালুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিধান নগর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে নিজের স্ত্রী তথা বিধান নগর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ।
জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, জ্যোতিপ্রিয়র জন্য স্ত্রী নন্দিনী তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এমনকি তাঁকে পুলিশি হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়। জয়ব্রত নিজে দাবি করেছেন তিনি বর্তমানে হার্টের রোগী। তাঁর মানসিক অবস্থাও অত্যন্ত দুর্বল, এই নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে করজোড়ে তিনি নিজের স্বেচ্ছা মৃত্যুও চেয়েছেন। বলেছেন, “আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না।”
জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ২০১৭ সালে তাঁর ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। তারপর থেকেই তিনি কল্যাণীতে থাকা শুরু করেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁর স্ত্রীর।
নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী বলেছেন, নন্দিনী ও তাঁর বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালে। ২০১৭ তে বাগুইআটি থাকাকালীন তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর থেকে চিকিৎসার কারণে তিনি কল্যাণীতে থাকা শুরু করেন। তবে এখানে স্ত্রী যেহেতু একা থাকতেন, তাই তিনি মাঝে মাঝে আসতেন। জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০১৭ সালে তিনি জানতে পারেন বালুদার সঙ্গে নন্দিনী তৃণমূল যোগ দিয়েছে। তারপর থেকে আসা যাওয়ার হিসাব নেই। রাত ১১টা সাড়ে এগারোটা কোনও সময় জ্ঞান নেই। সব সময় ফোনে ব্যস্ত। ওর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেতাম না”
তিনি জানান, “লকডাউনের পরেও এসেছি, ২০২১ এ কাউন্সিলরের টিকিট পায়। এরপর থেকেই হাবভাব বদলে যায়। আমায় সোজা বলল এখানে না আসতে। কাজের লোকের সামনে বলায় ব্যাপারটা আত্মসম্মানে লেগেছিল বলে জানান জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এরপর থেকে তিনি আর আসতেন না। তিনি এও বলেন, “এরমধ্যে আমি শুনতে পেলাম, বালুদার সঙ্গে দার্জিলিং ঘুরে এসেছিল। বালুদা বলতে অজ্ঞান। তার জন্য মুড়ি মেখে নিয়ে যচ্ছে, রান্না করে নিয়ে যাচ্ছে। বালুদা বলতে অজ্ঞান।”
এমনকি তিনি এও বলেন, তাঁর স্ত্রী নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্ল্যাট কেনেন, কিন্তু ফ্ল্যাট কেনার মতো তাঁর কাছে যথেষ্ট টাকা ছিল না বলে জানান জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জায়গায় দাড়িয়ে তিনি সাফ জানিয়েছেন, সেই ফ্ল্যাট তাঁকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ই কিনে দিয়েছিল।
জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বারবার আমার স্ত্রী বলেছে বালুদা জগিং করে, কত ইয়াং, খালি ওনার প্রশংসা।” তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক পাশাপাশি হার্টের সমস্যায় জর্জরিত তিনি, এমনকি মন্ত্রী মারফৎ পুলিশি হেনস্তায় পড়তে হয়ে তিনি মানসিক ভাবে দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাতর আবেদন “আমাকে মরতে দিন, আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না।” ইভিএম নিউজ