ব্যুরো নিউজ, ৬ সেপ্টেম্বর: বাড়ছে কেষ্টর কষ্ট! চাপের মধ্যে কেষ্ট অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলা আসানসোল থেকে স্থানান্তর হল দিল্লিতে।

আজ থেকে প্রবল চাপের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল সহ তার অন্যান্য সঙ্গীরা। অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলা বাংলা থেকে স্থানান্তর হল দিল্লির আদালতে। ইডির আইনজীবীরা বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছিল এই মামলা স্থানান্তরের স্বপক্ষে। ২০০৫ সালে প্রথম এই মামলা স্থানান্তরের বিজ্ঞপ্তি সামনে আসে, এরপর দুবার আবেদন করা হয়েছিল। এদিন আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতে ইডি মামলা স্থানান্তরের আবেদন করলে বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, কেন ইডি এই মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করতে চায়? অবশেষে ইডির হাতে আসা বিভিন্ন তথ্য ও অনুব্রত মণ্ডল যে কতটা প্রভাবশালী তার তথ্য সামনে আনতেই সিবিআই বিশেষ আদালত গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়।

বীরভূমে ‘সেন্সর’ কেষ্ট!

অনুব্রত মণ্ডল যে প্রভাবশালী তার বহু উদাহরণ সামনে এসেছে। ৭ই মার্চ ২০২৩ অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি শক্তিগড়ের একটি মিষ্টির দোকানে প্রাতরাশ সারেন। সেখানে তিনি ৩ প্রভাবশালী তৃণমূল যুব নেতার সঙ্গে দেখাও করেন। এর মধ্যে একজন হলেন কৃপাময় নামে এক যুব তৃণমূল নেতা যিনি অনুব্রত মণ্ডলের খুবই ঘনিষ্ঠ। তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে এক টেবিলে বসে খাবার খেতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। এবং কিছু কথোপকথনের ভিডিও সামনে আসে। সেই ভিডিওতে অনুব্রত মণ্ডলকে কিছু নির্দেশ দেওয়ার ছবি উঠে আসে। তখন থেকেই প্রশ্ন ওঠে অনুব্রত মণ্ডল কিভাবে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে তার দলের নিজস্ব লোকেদের সঙ্গে আলাপচারিতা করে।

এছাড়াও অনুব্রত মণ্ডল যে প্রভাবশালী তা তিনি যখন আসানসোল জেলে বন্দী ছিলেন তখনও সামনে উঠে আসে। জেলের মধ্যেই অত্যাধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো অনুব্রতকে। এমনকি বিচারপতিকে হুমকির চিঠি পর্যন্ত পাঠানো হয়েছিল। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে যাতে নিয়ে যেতে না পারে তার জন্য তারই দলের লোক শিব ঠাকুর মন্ডল এক বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করায় সামনে উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের প্রভাবশালী তত্ত্ব।

ইতিমধ্যেই দিল্লিতে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সাইগেল হোসেন তার একাউন্টেন্ট মনীষ কোঠারি, অনুব্রত কন্যা সুকন্যা ও সুকন্যার গাড়ির চালক সকলেই তিহার জেলে বন্দী। ফলে এই গরু পাচার মামলা, দিল্লিতে স্থানান্তরিত হলে অনুব্রতর ‘চেলা-চামুন্ডা’ এই মামলাকে যে প্রভাবিত করতে পারবেনা সেটাই বুঝতে পেরেছেন বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ইডির করা আবেদন মঞ্জুর করলো আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালত। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর