বাংলা

স্বপন দাস, ১৯ অক্টোবর: বাংলা ভালো নেই!

বাংলা ও বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর আজ পঞ্চমী। কলকাতায় ইতিমধ্যেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে। মফস্বল ও গ্রামেও পুজো প্যান্ডেলগুলো ধীরে ধীরে সেজে উঠছে।

PHD-তে ভর্তির নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ষষ্ঠীর দিন থেকেই মোটামুটি কলকাতার সঙ্গে সারা রাজ্য-সহ গোটা বিশ্বে বাঙালিরা মেতে উঠবেন মায়ের আরাধনায়। সারা বছরের সমস্ত কষ্ট-যন্ত্রনা ভুলেএই চারটে দিন সকলের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন সকলে।

কিন্তু এবারের পুজোটা যেন একটু অন্যরকম! বাংলা কিংবা বাঙালিকে পুজোর আগে এত বিষাদে থাকতে আমি কখনো দেখিনি। একরাশ যন্ত্রণা নিয়ে বঞ্চনা নিয়ে কলকাতার প্রাণ কেন্দ্রে ধর্মতলায় বসে রয়েছে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে, যাদের চাকরিগুলো চুরি হয়ে গিয়েছে। তাদের কাছে দুর্গাপুজো এখন জীবনের একটা পরিহাস মাত্র।

সারদার লুট হয়ে যাওয়ার গরিব মানুষের টাকা শোক সময়ের আবর্তে খানিকটা স্থিমিত হয়ে গেলেও, ধিকি ধিকি করে এখনো বহু মানুষের মনে এই লুঠেরাদের প্রতি ঘৃণা নতুন করে জন্মেছে।

এরপরেও মানুষ যখন দেখছে লুঠেরা বহাল তবিয়াতে গোটা রাজ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, আর যাদের এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কঠিন থেকে কঠিনতর নেওয়ার কথা, তারা কোনও এক অজানার রহস্যে নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে।

স্বাধীনতার পর বাংলার এত খারাপ অবস্থায় কখনো ছিল, তা ইতিহাস ঘেটেও কেউ একথা বলতে পারবে না। একটা রাজ্যে এত অন্ধকার, যে এই অন্ধকারে থাকতে থাকতে বিবর্তনের ধারায় গোটা জাতিটাই না অন্ধ হয়ে যায়! যদিও এই বাঙালির একসময়ের অহংকার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন রাতের গভীরতা যত বাড়ে ভোরের আলো কাছে আসার সম্ভাবনা ততই বাড়ে। এটাই এখন বাঙালির একমাত্র আশ্বস্ত হওয়ার বাণী। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর