এবার
ব্যুরো নিউজ, ৮ নভেম্বর: বাংলায় এবার দেদারে ফাটবে দোদমা, চকলেট বোমা!


শব্দ বাজির ওপর উঠে গেছে নিষেধাজ্ঞা। বাজারে এবার দেদার বিকোবে চকলেট বোম, কালীপটকা। এপ্রসঙ্গে বাজি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাবলা রায় বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে এতদিনে মান্যতা দেওয়া হল"
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ RBI-এর
সারা দেশে আগেই মিলেছিল ছাড়পত্র। এবার বাংলায় বাজির শব্দ ৯০ ডেসিবেল থেকে বেড়ে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। ফলে চকলেট, কালীপটকা কিংবা দোদমা আর নিষিদ্ধ নয়। কালীপটকার দিন আবার শুরু হল।

গত ১৭ অক্টোবর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, বাজির শব্দসীমা ৯০ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় সবুজ মঞ্চ নামক একটি সংস্থা। শুনানিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানায় যে সবুজ বাজি ছিল না সেই সময় শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল ছিল। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে বাজারে সবুজ বাজি এসেছে। তারপরে সুপ্রিম কোর্টের গাইড লাইন মেনে শব্দসীমা ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে।

শব্দ বাজির ওপরে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এবার বাজারে চকলেট, দদমার রমরমা। এপ্রসঙ্গে বাজি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাবলা রায় বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে এতদিনে মান্যতা দেওয়া হল। ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সারা ভারতে কার্পেট হবে ১২৫ ডেসিবেল। সবুজ মঞ্চ সাত আট বার কেসে হেরেছে। তারপরেও আমরা বোঝাতে পারিনি।”

তিনি জানান, মহেশতলা, চম্পাহাটিতে সবুজ বাজি তৈরি হচ্ছে। ১২৫ ডেসিবেল রেখেই আতসবাজি তৈরি হবে। কলকাতার থেকে পণ্ডীচেরিতেও জনঘনত্ব অনেক বেশি। জনঘনত্বের বিচারে তো আমরা ১৩ নম্বরে।

যদিও পুলিশ কমিশনারের দাবি ‘নিরি’, ‘NEERI’ অনুমোদিত বাজি না হলে যে কোনও বাজিই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ধড়-পাকড়ও চলছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, “সকাল ছটা থেকে রাত আটটায় কালীপুজো, ছটপুজো, দীপাবলিতে বাজি ফাটানোয় ছাড় আছে। বাজিবাজারে আমরা ইন্সপেকশন করছি।”

তবে কলকাতার বাজি বাজারে চকোলেট বা কালীপটকা রাখা হবে না বলে  জানিয়েছেন বিক্রেতারা। টালা পার্ক বাজি বাজার কমিটির সদস্য বলেছেন, “এটা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। অনেক আইনি জটিলতা, ঝড়ঝাপটা সামলাতে হয়েছে। এবার আমাদের মনে হয় ব্যাবসাপত্র ভালই হবে। ১০০০ ধরনের আতসবাজি রয়েছে, সেগুলি সবই ছিল ১২৫ ডেসিবেলের নীচে। আমরা দেখেছিলাম ১২৩ ডেসিবেলের ওপরে নয় বোমা, কালীপটকা। সবই তার নীচে। রকেট, আকাশের শর্টার, দোদোমা, কালীপটকা সব এবারের পুজোয় পাওয়া যাবে।” সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর