ব্যুরো নিউজ, ১৬ নভেম্বর: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার প্রৌঢ়ের পচাগলা দেহ
বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হোল এক প্রৌঢ়ের পচাগলা দেহ। জানা গিয়েছে, সেই প্রৌঢ়ের নাম মন্টু গুঁই। তার বয়স ৫৮ বছর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার দোলতলা বাগদীপাড়ায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে গিয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকেই তারা এলাকায় পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন। তবে, প্রথম দিকে তারা বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। কিন্তু বেলা যতই বাড়তে থাকে, তারা লক্ষ্য করে গন্ধ তত তীব্র হচ্ছে। গন্ধের উৎস খুঁজে এলাকার একটি বাড়ির খোলা জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় এলাকাবাসীর। তাঁরা দেখেন খাটের উপর পড়ে রয়েছে বাড়ির মালিকের পচাগলা মৃতদেহ। এরপর এলাকার বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। তারা ঘটনাস্থলে এসে বাড়ির দরজা ভেঙে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্টু গুঁই ছিলেন পেশায় আলুর ব্যবসায়ী। তিনি পরিবার নিয়ে বাঁকুড়া শহরের দোলতলা বাগদীপাড়া এলাকায় নিজের দোতলা বাড়িতে থাকতেন। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে জেলারই জয়পুরের হেতিয়া এলাকায় বাপের বাড়িতে যান। বাড়িতে তখন একাই ছিলেন মন্টু। স্থানীয়দের দাবি, লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই আর এলাকায় দেখা যায়নি মন্টুকে। এলাকার সকলের অনুমান, মন্টু হয়তো কোনও আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মুখার্জী বলেন, “প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মন্টুকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই পচা গন্ধ নাকে আসছিল। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই গন্ধে এলাকায় আর টেকা যাচ্ছিল না। উনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। আমাদের ধারণা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি সাত দিন আগেই মারা গিয়েছেন”। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। ঠিক কোন কারনে ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে তা তারা খতিয়ে দেখছেন। ইভিএম নিউজ