ব্যুরো নিউজ, ৩১ জানুয়ারি: বন্ধের পথে রানীগঞ্জ বেঙ্গল পেপার মিল
পশ্চিম বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলে আরও এক কারখানা বন্ধের প্রহর গুনতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু কলকারখানা বন্ধের পর এবার শিল্পাঞ্চলের ঐতিহ্য বহনকারী রানীগঞ্জ বেঙ্গল পেপার মিলে, সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝোলানোর ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ৩০০ জন শ্রমিকের রুজি রোজগার। এর পূর্বে ১৬ ও ২৪ শে জানুয়ারি দু – দফায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন প্রদান করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল পেপার মিল কর্তৃপক্ষের তরফে। তবে তা কার্যকর হয়নি। এর জেরে শ্রমিকেরা বারংবার কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখায়। পরে চিঠি করা হয় জেলা শ্রম দফতরের আধিকারিকের কাছে। কিন্তু তারপরও কোন সমস্যার সমাধান হয়নি।
হেমন্তের বাড়িতে ইডি | বাসভবনের চার পাশে জারি ১৪৪ ধারা
এবার উল্টে কোনো বকেয়া না দিয়ে, ঝোলানো হলো সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ আর্থিক ক্ষতিপূরণের অজুহাতে, কারখানা বন্ধ করছে। অথচ বাজারে কাগজ শিল্পের চাহিদা রয়েছে। তারপরও কখনো কারখানার কাঁচামাল মিলছে না, কখনো অন্য কোন অজুহাত দেখাচ্ছে তারা। বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব বলেই দাবি তাদের। এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিবাদে সরব হল পেপার মিলের শ্রমিকেরা। কোন রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়াই তারা এদিন প্রতিবাদে সরব হয়। তাদের দাবি, বিনা নোটিশে ৭ই জানুয়ারি থেকে মিল বন্ধের পর, এবার সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝোলালো মিল কর্তৃপক্ষ, যা, একেবারে বেআইনি।
এক মাস ধরে বকেয়া বেতন বাকি, আর একমাস ধরে কাজ ছেড়ে বসে রয়েছে তারা, কিন্তু তারপর ঝোলানো হলো সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ। বিষয়টি নিয়ে হতাশ শ্রমিকেরা এবার প্রতিবাদে সরব হয়ে দাবি করে, অবিলম্বে কারখানা খোলা হোক, আর বকেয়া বেতন প্রদান করুক কর্তৃপক্ষ। তাদের এও দাবি, তাদের যেহেতু কোনো নোটিশ না দিয়ে ৭ জানুয়ারি থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাই কারখানা কর্তৃপক্ষকে সেই সময় পর্যন্ত সমস্ত বকেয়া বেতন প্রদান করতে হবে। আর এই দাবি মানা না হলে তারা লাগাতার ধর্না আন্দোলনে যাওয়ার পাশাপাশি, প্রয়োজনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হবেন বলেও দাবি করেন।
যদিও ওই বিক্ষোভ আন্দোলনের পরও কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। এখন দেখার এই কারখানা কখন স্বাভাবিক হয়। সেদিকেই তাকিয়ে আছেন কারখানার শ্রমিকেরা। ইভিএম নিউজ