ব্যুরো নিউজ, ২৬ ডিসেম্বর: বড়দিনে বাধ ভাঙা ভিড় রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্কে
বড়দিনের সকাল থেকে বাধ ভাঙা ভিড় রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্কে। এদিন বিকেল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার দর্শক ভিড় জমিয়েছেন পার্কে। শীতের মেডেন ওভার চললেও বড়দিনের ছুটি কাটাতে কচিকাচাদের নতাতেবেরিয়ে পরেছিলেন। রোদের তাপে ঠাণ্ডা না থাকায় শীতের পোশাক খুলে তা হাতে নিয়েই চুটিয়ে বাঘ, ভল্লুক, হরিণ, কুমির দেখতে উৎসাহী হাজারো দর্শক।
৫ মিনিট ৩ সেকেন্ডের দুর্ধর্ষ ডাকাতির সাক্ষী থাকলো মালদা
গতবছরও এইদিনে এইরকমই দর্শক হয়েছিল। তবে এবছর শীতের প্রথম থেকেই রমনাবাগানে দর্শক সমাগমের নিরিখে গড় সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় হাজার দর্শক পশু পাখি দেখতে ভিড় করছেন। ছুটির দিনগুলোতে এই সংখ্যা ২ থেকে আড়াই হাজার পর্যন্ত। এদিন বিকেলে টিকিট কাউন্টার বন্ধ হওয়া পর্যন্ত সাড়ে তিনহাজার দর্শক পার্কে প্রবেশ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিন টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রায় ৮০হাজার টাকার।
কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলা নয়, এদিন বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি জেলা থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্কে। এছাড়া, স্থানীয় অনেকেই বড় দিনের ছুটিতে পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় আসতে দেখ যায়। বিশেষ করে ভিন জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ থেকে আসা পড়ুয়াদের সংখ্যা ছিল এদিন বেশি।
বর্ধমানের রমনা বাগানে এবারের নতুন অতিথি দুজোড়া সিলভার ফিজ্যান্ট। কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গের চিড়িয়াখানা থেকে সেগুলি বর্ধমানের চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে। তারপর থেকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বড়দিনের দিনই তাদের দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এই পাখিই এবারের বিশেষ আকর্ষণ বলে মনে করছে রমনাবাগান চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও, বর্ধমান চিড়িয়াখানার এই মুহুর্তের মুখ্য আকর্ষণ চিতাবাঘ দম্পতি কালি ও ধ্রুব ও তাদের দশ মাসের শাবক। চিড়িয়াখানায় এখন ৫ টি সিলভার ফিজেন্ট, দুটি গোল্ডেন ফিজ্যান্ট, ৬টি কুমির, ভল্লুক, দুটি মদন টাক পাখি, প্রচুর টিয়া এছাড়াও নানান রঙিন পাখি, ১৩০ টি হরিণ, বাঁদর প্রভৃতি রয়েছে। ইভিএম নিউজ