লাবনী চৌধুরী, ২৬ আগস্ট: ফুঁসছে তিস্তা! বানভাসি শৈলশহর। ভারী বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকলো জল। তিস্তায় লাল সতর্কতা। রাতভর একটানা ভারী বৃষ্টি। করলা নদীর জল ঢুকে পড়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজিপাড়া পরেশ মিত্র কলোনী এলাকায়। জলমগ্ন বেশ কিছু বাড়ি।
করলা নদীর পাশে নেই স্থায়ী বাঁধ। নদীর জল বেড়ে গিয়ে এলাকায় জল ঢুকে পড়ায় বিপত্তি।
জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরের সব কয়টি জেলাতেই চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। গত চব্বিশ ঘন্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৩, পার্শ্ববর্তী শিলিগুড়িতে ২২৩ মিলিমিটার, মালবাজার ৭১.১০ মিলিমিটার। পাহাড়-সহ সমতলে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই জলস্তর বাড়ছে তিস্তা, জলঢাকা-সহ বিভিন্ন নদীর।
জলপাইগুড়ির ফ্লাড ওয়ার্নিং অথরিটি সূত্রে জানা গেছে, জলঢাকা নদী সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক, মেখলিগঞ্জ ও দমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর অববাহিকায় লাল ও হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়ছে সমতলের নদী গুলিতে। জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন পাহাড়ী ঝোরা গুলিতে হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে। এর সঙ্গে ওদলাবাড়ীতে তিস্তা ব্যারাজ থেকে বাড়তি ৬০২৮.৭৯ কিউমেক জল ছাড়ার কারণে শুক্রবার বিকেলের দিকে তিস্তা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পায় বলে জানাযায়।
তবে সেচ দফতর সূত্রে খবর, দোমহনি থেকে বাংলাদেশ বর্ডার অসুরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি। পাশাপাশি সুরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা। অপরদিকে জলঢাকা এনএইচ ৩১ সুরক্ষিত। পাশাপাশি মেখলিগঞ্জে হলুদ সতর্কতা। ইভিএম নিউজ
