ডঃ জয়ন্ত তপাদার, ১৫ সেপ্টেম্বর: প্রেম থেকে বিবাহ নাকি বিচ্ছেদ?
প্রেম থেকে বিবাহ নাকি বিচ্ছেদ? আজকাল সংবাদপত্র খুললেই দেখা যায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ছড়াছড়ি। যার জেরে খুন আত্মহত্যা অপহরণ ইত্যাদি নানা অসামাজিক ঘটনা ঘটেই চলেছে। তাই এই সকল সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আগে যদি আপনার মেয়ে বা ছেলের জন্ম ছকটা একবার একজন পন্ডিত জ্যোতিষীকে দিয়ে বিচার করে জন্মছকের অশুভ যোগ গুলোর যথাযথ প্রতিকার করে বিয়ে দেওয়া হয়। তবে তার বিবাহিত জীবন সুখের ও শান্তির হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই জ্যোতিষীয় প্রতিকার ছাড়া আর যা করতে হবে তা হল পাত্র-পাত্রী ২ জনেরই ব্লাড টেস্ট করানো প্রয়োজন। বিশেষত, ব্লাড গ্রুপ, থ্যালাসেমিয়া, এইচআইভি।
বিবাহিত জীবন সুখের হবে তো? জেনে নিন
জন্ম ছক যথাযথ বিচার করে বলে দেওয়া যায় জাতক বা জাতিকার প্রণয় মূলক সম্পর্ক কোথায় হবে, কার সঙ্গে হবে, প্রণয়ের ফলে অপজশ হবে কিনা, প্রণয় বিবাহের রূপ পাবে কিনা, স্বামী বা স্ত্রী তার বিপরীত পক্ষকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হবে কিনা তাও বলে দেওয়া যায়।
মহর্ষি পরাশর, অগস্ত্য, বশিষ্ট্য জৈমিনি প্রভৃতি মুনি-ঋষি দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশে বিচরণকারী গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব যে মনুষ্য জীবনে পড়ে তা পরীক্ষিত ভাবে দেখিয়েছেন।
সঠিকভাবে সন্তানকে পথ দেখাচ্ছেন তো?
লগ্নকে প্রথম ভাব ধরে ঘড়ির কাটার বিপরীতে গণনা করলে আমরা সপ্তমভাব পাই। সপ্তমভাব স্বামী-স্ত্রীর মিলন, পার্থিব বন্ধন ও বৈধ সম্বন্ধের নির্দেশক। যেমন-
সপ্তমভাবে শনি অবস্থান করলে বেশি বয়সে বিবাহ হয়।
সপ্তম ভাবে কেতুর অবস্থান হেতু এবং এই ভাবকে কোনও শুভ গ্রহ দৃষ্টি না দিলে জাতক জাতিকাকে সারা জীবন অবিবাহিত থাকতে হয়।
সপ্তমভাবে রাহু অবস্থান করলে জাতে-অজাতে-বেজাতে অভিভাবকের কোনও অনুমতি ছাড়াই বিবাহ সম্পন্ন হয়।
সপ্তম ভাবে মঙ্গল থাকলে ও কেতু বা শনি এই ভাবের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত থাকলে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ বা মৃত্যুযোগ প্রবল থাকে।
প্রণয় মূলক সম্পর্কের বিষয়ে কিছু জ্যোতিষভিত্তিক নিয়ম (উভয় ক্ষেত্রে) দেওয়া হল
প্রণয় মূলক সম্পর্ক কখন হবে?
লগ্নে লগ্নপতি ও পঞ্চম পতি বা লগ্নপতি ও সপ্তম পতি একত্রে অবস্থান করলে।
পঞ্চমে সপ্তম পতি, সপ্তমে পঞ্চম পতি অবস্থান করলে।
লগ্নে সপ্তম পতি, সপ্তমে লগ্ন পতি থাকলে।
ডঃ জয়ন্ত তপাদার (জ্যোতিষ রত্ন উপাধি) যোগাযোগ- ৮২৫০৬২৭২০৩/ ৯৪৭৪৭৩২৯০১। ইভিএম নিউজ