ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১০ মার্চঃ রাজ্যজুড়ে সরকারি কর্মচারীরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন শুক্রবার। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম – গোটা রাজ্য জুড়েই সরকারি দফতরের কাজকর্মে তার ব্যাপক প্রভাব টের পাওয়া গেল ভালোভাবেই। শিলিগুড়ি আদালতে সরকারি কর্মচারীদের সিংহভাগই কাজে যোগ দেননি। ফলে আদালতের দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে
তবে একই সঙ্গে তারা জানাচ্ছেন, এই পদক্ষেপ নিতে চাননি। কিন্তু বাধ্য হয়েই কর্ম বিরতির পথে ঝুঁকতে হয়েছে তাদের।
বালুরঘাটে দেখা গেল বিভিন্ন সরকারি অফিসের সামনে পুলিশ মোতায়েন। ছিল সিভিক ভলেন্টিয়াররাও। আর ধর্মঘটীদের দেখা গেল হাতজোড় করে সমস্ত সরকারি কর্মীদের কাছে অনুরোধ করছেন কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি সফল করতে।
উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে এসআই অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন আন্দোলনকারীরা। ইটাহার বিডিও অফিস, ভূমি সংস্কার দফতর এমনকি ইটাহার উচ্চ বিদ্যালয় এবং উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনেও চললো পিকেটিং
ঘাটালে কর্ম বিরতির প্রভাব পড়ল সরকারি বিভিন্ন দফতর এমনকি স্কুলগুলোতেও। ঘাটালের খাসবাড় হাই স্কুলের গেটে এদিন তালা লাগিয়ে দেন ধর্মঘটিরা। প্রধান শিক্ষকসহ মাত্র তিন জন শিক্ষক হাজিরা দেন স্কুলে। ছিলেন দু-একজন কর্মীও। কিন্তু বাকিরা কেউই
ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য, তারা স্কুলে গিয়েছিল, কিন্তু তাদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের মোট ৩৮ টি সংগঠন গত বেশ কিছুদিন ধরেই প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে। হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী শামিল এই আন্দোলনে। শহীদ মিনারের নিচে লাগাতার বিক্ষোভ অবস্থানো চলছে। কিন্তু সরকার অনড়। ডিএ সহ তিন দফা দাবির পাশাপাশি তাই বাধ্য হয়ে এদিনের কর্ম বিরতি ডাক – রাজ্যজুড়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের এটাই বক্তব্য।