ব্যুরো নিউজ, ১৩ ডিসেম্বর: প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা
প্রাক্তন বিধায়ক ও কাউন্সিলর সোহরাব আলির বাড়িতে হানা দিলেন আয়কর দফতরের গোয়েন্দারা। রানিগঞ্জের প্রাক্তন ওই বিধায়কের আসানসোলের বাড়িতে বুধবার আয়কর দফতরের আধিকারিকরা আসেন। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে, মূলত বালি ও লোহা কারবারিদের বাড়িতেই এই অভিযান হচ্ছে। ১৯৯৫ সালে আরপিএফের দায়ের করা রেলের লোহার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তখন তিনি বিধায়ক ছিলেন। চুরির ওই মামলা চলে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। ২০১৫ সালে বিধায়ক থাকাকালীন ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন সোহরাব। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, রানীগঞ্জ থেকে কলকাতা- রাজ্যের একাধিক জায়গায় আয়কর দফতরের অভিযান চলছে। এ ছাড়া বার্নপুরের ধরমপুরে একাধিক বাড়িতে আয়কর হানা চলছে। সব মিলিয়ে মোট রাজ্যের ৩৫ জায়গায় একই সঙ্গে আয়কর হানা চলছে বলে খবর।
টাকার পাহাড়ের পর সোনার পাহাড়ের খোঁজ! আনা হল যন্ত্র
স্থানীয় সূত্রের খবর, রানিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়কের বার্নপুরের রহমতনগরে দুটি বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে আয়কর দফতরের গোয়েন্দারা। ভোর ৫টা থেকে তাঁর বাড়ির বাইরে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রচুর মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে সোহরাবের বাড়ির বাইরে। তবে ঠিক কোন কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই অভিযান চালাচ্ছে, তা কিন্তু স্পষ্ট নয় স্থানীয়দের কাছে।
সোহরাব পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। পরে তিনি লোহার কারবারে যুক্ত হন। তবে জানা গিয়েছে, সেই ব্যবসার আড়ালে ধরমপুরে বেআইনি ব্যবসা সহ বার্নপুরে রেল ওয়াগন ভাঙা, ইস্কো কারখানায় লোহার স্ক্র্যাপের বেআইনি ব্যবসা ও নানা অভিযোগ ছিল সোহরাবের বিরুদ্ধে।
আবার রাজনীতিতেও সোহরাবের ‘উত্থান’ চোখে পড়ার মতো। লোকসভা ভোটে কখনও তিনি নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। আবার কখনও লালু প্রসাদের হাত ধরে আরজেডিতে নাম লিখিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। পরে তিনি আরএসপিতে যোগদান করেন। তারপর আবার তিনি তৃণমূলে এন্ট্রি নেন। এরপর ২০১১ সালে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে রানিগঞ্জের বিধায়ক হন তিনি। ইভিএম নিউজ