পুরোহিতের

ব্যুরো নিউজ, ৬ অক্টোবর: পুরোহিতের মন্ত্রে নয় | আদিবাসীদের নিজস্ব মন্ত্রেই মায়ের আরাধনা

শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোকে ঘিরে এখনও উন্মাদনা তুঙ্গে। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা হাবিবপুর ব্লক, সেই ব্লকে আদিবাসী সম্প্রদায় মানুষ নিজের ভাষায় মন্ত্র পাঠ করে মা দুর্গার পুজো করে।

‘রাজ্যপাল না ফেরা পর্যন্ত চলবে অবস্থান’

এই পূজোটি হয় মালদাহের হাবিবপুর থানার কেন্দপুকুর এলাকার ভাঙ্গা দিঘি গ্রামে। গ্রামের মধ্যে রয়েছে ছোট্ট একটি টিনের ঘর, সেই ঘরের মধ্যে রয়েছে এই মা দুর্গার বেদী। সেখানেই এই পুজো হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে। পুরোহিতের মন্ত্রে নয়, আদিবাসীদের নিজস্ব মন্ত্রেই নিষ্ঠার সঙ্গে এখানে পুজো হয় মা দুর্গার।

প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো মালদহের হাবিবপুরের কেন্দপুকুর ভাঙাদিঘি এলাকার প্রাচীন এই দুর্গাপুজো। তবে এই পুজোর ইতিহাস রয়েছে। বাবুল আর হাঁসদা জানান তাদের এই পুজোটা শুরু হয়েছিল ঠাকুরদার আমলে বাংলাদেশে। এক সময় এই পুজো ছিল পরিবার কেন্দ্রীক। তবে এখন এই পুজোয় গোটা এলাকা জুড়ে সহযোগিতা করে সকলে। ১৫০ বছরের পুরোনো এই দুর্গা পূজোর প্রচলন করেছিলন লব হাঁসদা। স্বপ্নাদেশ পেয়েই নাকি দেবী দুর্গার পুজো শুরু করেছিলেন লব হাঁসদা।

তখন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার, নাচোল থানার হাকরোল গ্রামে থাকতেন লব হাসদাঁ। আজও ধুমধাম করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের নিয়ম-নীতি মেনে এখানও দেবীর আরাধনা করা হয়। পুজোর চার দিন এখানে পংক্তি ভোজনের আয়োজন করে থাকেন আদিবাসী সমাজের মানুষেরা। ব্রাহ্মণ পুরোহিতের বদলে একজন প্রবীণ আদিবাসী তাঁদের নির্দিষ্ট ধর্মীয় রীতি মেনে দেবী দুর্গাকে পুজো করেন। দেবীর বোধনে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। হাবিবপুরের ভাঙাদিঘিতে এখন পুজোর তোড়জোড় তুঙ্গে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর