পুজো

রাজীব ঘোষ, ২৫ সেপ্টেম্বর: পুজোয় ঘুরে দেখুন রাজবাড়ির ইতিহাস

সারা বছর সাধারণের প্রবেশের অনুমতি নেই। শুধুমাত্র পুজোর এই কটা দিন এই রাজবাড়িতে প্রবেশ করতে পারেন সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, রাজবাড়ির দুর্গাপূজোয় উপস্থিত থাকেন স্বয়ং রাজা- রানীও। বছরের এই সময়টাতেই জনসাধারণের সামনে আসেন তাঁরা। পাশাপাশি পুজোয় দায়িত্বও পালন করেন।

ঢাকে কাঠি পড়তেই চরম ব্যস্ত প্রতিমার অলংকার শিল্পীরা

দুর্গাপূজোয় সেজে উঠছে বাংলা। আর তার সঙ্গেই একসঙ্গে সেজে উঠছে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি। খুব বেশি দূরে নয়, নদীয়া জেলার সদর কৃষ্ণনগর শহরেই অবস্থিত কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি। কৃষ্ণনগর স্টেশনে নেমে ১০ থেকে ২০ মিনিট সময়ের মধ্যেই অটো বা কোনও গাড়িতে করে এই রাজবাড়ি পৌঁছে যাওয়া যায়।

রাজবাড়ির সামনে রয়েছে ফাঁকা বিস্তীর্ণ মাঠ। একটি গাছ, আর সেখানেই লাল হলুদ দেওয়ালের ইমারত। এই শহরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নাম। তার নামেই নামকরণ হয়েছে কৃষ্ণনগর। জড়িয়ে আছে গোপাল ভাঁড়ের গল্পও। তবে এই মুহূর্তে আর রাজাও নেই, রাজতন্ত্রও নেই। আর গোপাল ভাঁড়ের গল্প রয়েছে শুধুমাত্র বইয়ের পাতায়।

এবার পূজোয় ঘুরে আসতে পারেন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি। পুজোর কটা দিন নদিয়া ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। রাজবাড়ির বিশাল পূজামন্ডপের ভিতর বিচিত্র কারুকার্য খোদাই করা রয়েছে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাসদরা যেখানে বসতেন সেই জায়গাও একই অবস্থায় রয়েছে।

 

কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির মা দুর্গা রাজেশ্বরী নামে পরিচিত। এখানে মা সিংহের পরিবর্তে ঘোড়ার উপরে বিরাজমান। মায়ের রূপ এখানে আলাদা। প্রাচীন রীতি মেনে দেবীর পিছনে চালচিত্র দেখা যায়। আগে এখানে পশুগুলি হত। তবে এখন বন্ধ। এলাকার সমস্ত বারোয়ারী পুজোর ঠাকুর রাজবাড়ি হয়ে বিসর্জন হয়।

কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে সমস্ত পুজোই করা হয়। তবে বিশেষ করে দুর্গাপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। এই পূজোর সময় রাজা ও রানী বনেদি সাজে সকলের সামনে আসেন। নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন। এই রাজবাড়ির পুজো মণ্ডপে গেলে ইতিহাসও উপলব্ধি করতে পারবেন। তাই পুজোর কটা দিন ঘুরে আসতেই পারেন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি থেকে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর