ব্যুরো নিউজ, ১৪ ডিসেম্বর: পার্লামেন্টে হানা: সাসপেন্ড ১৫ বিরোধী সাংসদ

পার্লামেন্টে হানা বিতর্কে সাসপেন্ড করা হল ১৫ জন বিরোধী সাংসদকে। লোকসভার নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে সংসদের ভিতর বিক্ষোভ দেখানোর জেরে সাসপেন্ড করা হল লোকসভার ১৫ বিরোধী সাংসদকে। 
মহুয়া: শুনানির দিনক্ষণ বলবেন প্রধান বিচারপতি
বুধবার অধিবেশন চলাকালীন সংসদের অধিবেশন কক্ষে অবৈধ ভাবে ঢুকে পড়ে ২ অনুপ্রবেশকারী। এমনকি ঘটনায় হামলার অভিযোগে দেশের আইনসভার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তারপরেও নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে কীভাবে অভিযুক্তরা ঢুকলেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। আজ লোকসভার নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে সংসদের ভিতরে চলে বিক্ষোভ। ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল লোকসভার ১৫ বিরোধী সাংসদকে। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলবে। ততদিন পর্যন্ত এই সাংসদরা সাসপেন্ড থাকবেন। 

সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনকেও। লোকসভায় সাসপেন্ড করা ১৫জন সাংসদ হলেন, কংগ্রেসের টিএন প্রতাপন, হিবি ইডেন, এস জোথিমনি, রম্যা হরিদাস, ডিন কুরিয়াকোস, বেনি বেহানান, ভিকে শ্রীকান্দন, মহম্মদ জাভেদ ও মানিকম ঠাকুর, সিপিআইএম-এর পিআর নটরাজন ও এস ভেঙ্কটেসন, ডিএমকে-র কানিমোঝি করুণানিধি ও এসআর পার্থিবন এবং সিপিআই-এর কে সুব্রহ্মণ্যম। সকল সাংসদকেই সভার কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। 


২ অনুপ্রবেশকারীর 'হামলার' ঘটনায় সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। নয়া সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আজ সকাল থেকেই সংসদের ভিতরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। এই বিষয়ে দুই কক্ষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিবৃতি দাবি করেন বিরোধীরা। ফলে বারবার ব্যাঘাত ঘটে লোকসভা ও রাজ্যসভার কার্যক্রম।

বিরোধী সাংসদদের তীব্র হইহট্টগোলের মধ্য়েই, সংসদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ওই ১৫ জন লোকসভা সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব তোলেন। ধ্বণিভোটে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়।

অন্যদিকে, রাজ্যসভায় একই বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। প্রবল শোরগোলের মধ্যে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে অবিলম্বে কক্ষত্যাগের নির্দেশ দেন। এরপরই, সব দলের দলনেতাদের বৈঠকে ডাকেন জগদীপ ধনখড়। কিন্ত, বিরোধী কোনও দলনেতাই তাঁর আহ্বানে সাড়া দেননি। এরপরই,  তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন জগদীপ ধনখড়। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর