কেঁচো

ব্যুরো নিউজ, ৮ ডিসেম্বর: পানীয় জলে কেঁচো ও পোকামাকড় | তবুও নিরব প্রশাসন

জলই জীবন। আর সেই পানীয় জলেই থিক থিক করছে কেঁচো ও পোকামাকড়। সেই জল পান করা তো দুরস্ত, হাত-পা ধোওয়া বা স্নানের জন‍্যেও ব্যবহার করার অযোগ্য। সমস্যায় বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মামুদপুর, সাহাপুর, চার নম্বর ও ক‍্যাওড়াখালি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার ১৫-২০ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

এলাকার মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্ত এলাকায় সরকারি পাইপ লাইনে যে জল সরবরাহ করা হয় সেই জলের সাথে আসছে কেঁচো ও একাধিক পোকামাকড়। ফলে জল ব্যবহার করা অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এছাড়াও তাদের আরো অভিযোগ, একদিন অন্তর একদিন জল আসে ও সময় মতো জল আসে না। জল আসার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই‌। এলাকার অধিকাংশ মানুষ গরিব। জল কিনে খাওয়ার সাধ্য নেই। তাই বাধ্য হয়ে এই জল ব্যবহার করছেন সুন্দরবনের প্রত‍্যন্ত এলাকার মানুষজন।

সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী বামেরা

অনেকে খাওয়ার জন্য তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে গিয়ে খাওয়ার জল নিয়ে আসছে। আবার অনেকে সাধ্য না থাকলেও জল কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছে। অভিযোগ, এই জল পান করে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কিন্তু তবুও বাধ্য হয়ে জল পান করতে হচ্ছে ও সেই জল ব্যবহার করতে হচ্ছে দৈনন্দিন কাজের জন্য।

 

গ্রামবাসীরা বলেন, পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। বহুবার পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে কিন্তু পঞ্চায়েত কোনরকম ব্যবস্থা করছে না। এক কথায় বলতে গেলে প্রশাসন এই ব্যাপারে একদম নির্বিকার।

যদিও হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান লতিফ গাজী ঘটনাটি স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, জলে যে পোকা আসছে এটা তারা জানেন। তিনি জানান, এই সমস্যার কথা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সভাধিপতি ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও জলে পোকা আসছে। এই বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর