নেতাজির

ব্যুরো নিউজ, ৯ জানুয়ারি: নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান অপরিসীম। এদেশের মানুষ তাঁকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। ভারতকে পরাধীনতার অন্ধকার থেকে বার করে আনতে প্রাণ দিয়ে লড়েছিলেন এই বঙ্গ সন্তান।

সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ভারতবর্ষ স্বাধীন করার লক্ষ্যে নেতাজি কলকাতার এলগিন রোডের বাড়ি থেকে ব্রিটিশের নজরদারি এড়িয়ে বিহার, পেশোয়ার, আফগানিস্তান, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে জার্মানিতে পৌঁছান। এরপর ১৯৪৩ সালে তিনি সাবমেরিনে চেপে জাপান পৌঁছান। তিনি রাসবিহারী বসুর হাত থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব নেন ও আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করেন। ১১টি দেশ ওই সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। আজাদ হিন্দ ফৌজ ইম্ফল জয় করে কোহিমা পর্যন্ত অগ্রসর হয়। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমা আঘাত হানলে জাপান আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয় ও নেতাজি তার আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ফিরে আসেন।

জীবনে সাফল্য পেতে মেনে চলুন স্বামী বিবেকানন্দর এই উপদেশ

তিনি জাপানের আত্মসমর্পণের বিষয়ে আলোচনার জন্য জাপানের টোকিওতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যাত্রাপথে ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইওয়ানের তাইহোকু এরোড্রমে এক বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে কথিত আছে। বিমানটিতে নেতাজির সঙ্গে জাপানি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ছাড়াও তার এডিসি কর্নেল হাবিবুর রহমান ছিলেন।

এরপর থেকেই নেতাজির মৃত্যু ও নিখোঁজ নিয়ে একাধিক রহস্য ঘনীভূত হতে থাকে। সত্য উদঘাটনের জন্য একাধিক তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। যার মধ্যে শাহনওয়াজ কমিশন, খোসলা কমিশন ও মুখার্জি কমিশন উল্লেখযোগ্য। শাহনওয়াজ ও খোসলা কমিশন সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনার পর নেতাজি মারা গিয়েছিলেন বলে দাবি করে। জাপানের রেনকোজি মন্দিরে আজও তাঁর চিতাভষ্ম রয়েছে। যদিও, তাঁর হাতে করা রাজনৈতিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক দল ও বহু মানুষ বিশ্বাস করেননা নেতাজির মৃত্যু। তাই রেনকোজি মন্দিরের সংরক্ষিত চিতাভষ্ম নেতাজির কিনা তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক রয়েছে। ভারতের কোন সরকারই ওই ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস পায়না। তাঁর বিষয়ে কিছু ক্লাসিফায়েড ফাইল জনসমক্ষে এনেছে কেন্দ্রের মোদী ও রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার। অন্যদিকে,মুখার্জি কমিশনের মতে, নেতাজি দুর্ঘটনার পরও জীবিত ছিলেন। এমনকী নেতাজির এই মৃত্যু নিয়ে বসু পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও বিভাজন রয়েছে।

মৃত্যু নাকি অন্তর্ধান? 

আজও নেতাজির মৃত্যু কিংবা অন্তর্ধান নিয়ে নানান বিতর্ক রয়েছে। আসলে ভারতের মহান স্বতন্ত্র মনীষীদের মধ্যে নেতাজি ছিলেন অন্যতম। তিনি শুধু অতীতে কিংবা বর্তমানে নয়, ভবিষ্যতের যুব সমাজকেও প্রেরণা জুগিয়ে এসেছেন। তাই তো দেশবাসীর কাছে আজও তাঁর মৃত্যুর কারণ রহস্যে ঘনীভূত। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর