ব্যুরো নিউজ, ১৪ ডিসেম্বর: নেই রাস্তা | আসেনা গাড়ি | তাই কাঁধে চেপেই হাসপাতালে পাড়ি
রাস্তা খারাপ, তাই গ্ৰামে আসেনা কোনও গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স। তাই বাধ্য হয়ে স্ট্রেচারে শুইয়ে সেই স্ট্রেচার কাঁধে করে নিয়ে যেতে হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।
মহুয়া: শুনানির দিনক্ষণ বলবেন প্রধান বিচারপতি
গ্রামের অশুস্থ বাসিন্দাকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাচ্ছে ভবানন্দপুর গ্ৰামের বাসিন্দারা।প্রায় ১০ বছর ধরে মাটির রাস্তা তে হয় না কোন কাজ, বর্তমানে সাইকেল মোটরসাইকেল টুকুও চলে না এই রাস্তায়। আর এটিই প্রধান রাস্তা ভবানন্দপুর গ্রামের। তাই বাধ্য হয়ে এই রাস্তাদিয়েই চলাচল করতে হয় ভবানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। তবে স্থানীয় মানুষ হেঁটে চলাচল করারও অযোগ্য এই রাস্তা। এমনটাই অভিযোগ স্থানিয়দের।
তাদের আরও অভিযোগ, নিত্য যাতায়াত থেকে শুরু করে ছেলে মেয়েদের স্কুল-কলেজ যেতে হয় এই রাস্তা দিয়ে, কিন্তু এই রাস্তা অটো, রিক্সা চলাচলেরও অযোগ্য। ফলে এই রাস্তা দিয়ে ঢুকতে পারেনা কোনও চারচাকা গাড়িও। তাই আপদ-বিপদের দিনে ভীষণই অসহায় তারা। কারোর শরীর খারাপ হলে তো আরও বিপদ! কোনও অ্যাম্বুলেন্সও ঢুকতে পারবে না এই রাস্তায়।
এদিন চ্যানেলের ক্যেমেরায় ধরা পড়ল ঠিক এমনই এক ছবি। আসুস্থ গ্রামের এক বাসিন্দাকে বাধ্য হয়ে স্ট্রেচারে শুইয়ে সেই স্ট্রেচার কাঁধে করে নিয়ে যেতে হচ্ছে চিকিৎসার জন্য। স্থানীয়রা জানান, গ্রামের যেকোনও বাসিন্দার শারীরিক অবনতি হলে কার্যত এভাবেই কাঁধে চাপিয়ে, নয়তো কাউকে ট্রাক্টরে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এই ভাবেই চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি ব্লকের হীজল গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ভবননন্দপুর গ্রামের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ময়ূরাক্ষী নদীর পাশেই থাকা কান্দি ব্লকের এই গ্রামটির প্রধান রাস্তা থেকে গ্রামে প্রবেশের প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা মাটির। প্রায় 10 বছর আগে এই রাস্তাতে একবারই মাটি পড়েছিল, আর তারপর থেকেই এই রাস্তার উপর দিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বরা ভোটের সময় এই গ্রামে ভোট প্রচারে আসে এবং এই রাস্তাটি পাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু, ভোট পর্ব মিটলেই আর কেউ মনে রাখে না। বারবার বিভিন্ন মহলে জানিয়েও মেলেনি কোনো সুরাহা। আর আজও গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে কার্যত কাঁধে করে অশুস্থ রোগীকে চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাচ্ছে গ্ৰামের অন্যান বাসিন্দারা। এখন গ্রামের মানুষের একটাই প্রশ্ন, এই চিত্র কি বদলাবে না কোনও দিন?
