ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৮ জুনঃ (Latest News) ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে কথা বললে বিজেপির দালাল, দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে কথা বললে মুসলমানদের দালাল। তাহলে আমি যাব কোন দিকে? বুধবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলপির করিম নগর বাস স্ট্যান্ডের পাশের মাঠে এক রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মোহাম্মদ নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি আরো বলেন, হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়িক বিভাজন চলছে স্বাধীনতার পর থেকে। সব সরকার এই বিভাজন চালিয়ে যাচ্ছে। এই ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আইএসএফ নেতা। একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জয় শাহর সম্পত্তির পরিমাণ নিয়েও কটাক্ষ করেন নওশাদ। তিনি বলেন, ধর্মীয় বিভাজনের ফায়দা লুটছেন নেতারা, আর সাধারণ মানুষ অসীম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। একই সঙ্গে এ দিন তিনি হিন্দু মুসলিম ঐক্যের ডাক দিলেন। বললেন, মানুষ যাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ না করতে পারে সেজন্যই বিভাজনের রাজনীতি চলে। এদিনের এই শিবিরে মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে ২৭৫ জন রক্ত দিয়েছেন।

অন্যদিকে এদিন বিকেলে কাকদ্বীপ বিধানসভা এলাকার মধুসুদনপুর অঞ্চলের ৬৪ নম্বর গ্রামে সম্প্রতি বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় নিহত কয়েকজনের পরিবারের বাড়িতে নওসাদ সিদ্দিকী যান। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতি এই সময় হামলা চালিয়ে তাঁকে যেতে বাধা দেয়। বিধায়কের সঙ্গে থাকা দলীয় কর্মী এই হামলায় আহত হয়েছেন। এই হামলার পরেও নওসাদ সিদ্দিকী কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আন্তরিক শোকপ্রকাশ করেন। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির ছেলে-মেয়েদেরকে পড়াশোনার দায়ভার গ্রহণেরও আশ্বাস দেন পরিবারবর্গদেরকে।

অন্যদিকে, গোসাবার বালী ২ নম্বর অঞ্চলে আইএসএফের সভা বানচাল করার জন্য শাসক তৃণমূল কংগ্রেস চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছে আই এস এফ। আইএসএফ এর আরো অভিযোগ, তাদের চেয়ারম্যানের জন্য নির্দিষ্ট খেয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হুমকি দিয়ে মানুষকে সভায় যেতে বারণ করা হয়েছিল। তবে সভায় মানুষের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। এখানে দলের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী সহ অন্যান্য আইএসএফ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত মানুষকে তাদের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। নওসাদ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি আবদুল মালেক মোল্লা, মেঘনাদ হালদার, প্রশান্ত নায়েক প্রমুখ।(EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর