ব্যুরো নিউজ, ১৭ নভেম্বর: ধৃত কুলেশ্বর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত

বুধবার ভাইফোঁটা উপলক্ষে কুলেশ্বর গ্রামে দিদি পূর্ণিমার বাড়িতে আসেন ভাই মিঠুন সর্দার। পূর্ণিমাদেবীর বাড়িতেই দুই বোন একসঙ্গে ভাইফোঁটা দেন ভাইকে। পূর্ণিমাদেবী ও তাঁর জায়েদের বাড়ি পাশাপাশিই। রাতে জমিজায়গা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে পূর্ণিমাদেবীর সঙ্গে তাঁর এক জায়ের ছেলে পরেশের বাদানুবাদ শুরু হয়। এরপর পরেশ পূর্ণিমাদেবী ও তার এক বোনকে মারধর করে। ইঁট ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ভাইফোঁটা নিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ যুবক 

এসব চলাকালীন আচমকাই পরেশ বন্দুক বার করে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দিদিকে বাঁচাতে সেই সময়  ছুটে যায় ভাই মিঠুন। একটি গুলি এসে লাগে মিঠুনের বুকে। সঙ্গে সঙ্গে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় মিঠুনের। ভাইফোঁটার দিনই দিদির বাড়িতে গিয়ে মৃত্যু হয় যুবকের। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে চোখের জল বাঁধ মানছে না তার দিদি পূর্ণিমার। তাঁর একটাই আক্ষেপ,  ভাইফোঁটা দিতে ডাকলাম বলে ভাইটা আমার চলে গেল”।

এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে ওই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলো পরেশ। পালানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দের নেতৃত্বে ডায়মন্ড হারবার ও উস্তি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অভিযুক্তের খোঁজে চলে চিরুনি তল্লাশি। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলেশ্বর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় পরেশকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পরেশ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়ে গ্রামসভায় ভোটে লড়েছিল। যদিও খুনের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন এসডিপিও জানান, জমিজায়গা সংক্রান্ত পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই গুলি চালানার ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবক ওই এলাকার আশপাশেই আত্মগোপন করেছিল। তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কীভাবে এল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কিনা তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর