ব্যুরো নিউজ, ১৫ ডিসেম্বর: ধর্নায় বেড়েছে বয়স | চাকরি মিলবে তো?
টানা ১০ বছর প্রায় চাকরির দাবিতে ধর্না দিতে গিয়ে অনেকেরই বয়স ৪০ পেরিয়েছে। কারো বয়স ৫০ এর কাছে। উচ্চ মাধ্যমিকের চাকরিপ্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশের পরেও আটকে রয়েছে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি। এই জটিলতা কাটতে কাটতে আরও কতো সময় লাগবে তা কেউই জানেনা। আবার অনেকের আশঙ্কা যদি তাঁদের চাকরি হয়ও ১০- ১৫ বছর অথবা খুব বেশি হলে ২০ বছর তাঁরা চাকরি করতে পারবে। চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই এখন বলছেন, কাছাকাছি না হলেও দুরের কোন স্কুলে তাঁরা চাকরি করতে রাজি। অনেক তপশীল জাতিভুক্ত প্রার্থী ৪৪ বছর বয়সেও উচ্চ মাধ্যমিকের চাকরির জন্য আবেদন করেছিলো। তখন ধারনা ছিল ঠিক মতো চাকরি হলে, ১২- ১৪ বছর তাঁরা চাকরি করতে পারবে।
লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরায় চলল গুলি | মৃত পুলিশ কনস্টেবল
কিন্তু বর্তমানে যা অবস্থা তাতে আদৌ চাকরি মিলবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। আবার অনেকে বলছেন, চাকরিতে আবেদনের সময় আশায় বুক বেঁধেছিলেন বাবা- মা। কিন্তু বছর দশেকের মধ্যেই তাঁরা মারা যান। তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দেওয়া যায়নি। আর তাই এই চাকরির কি মুল্য আছে তাই তাঁরা এখন বুঝে উঠতে পারছেন না। অনেকেই মাষ্টার ডিগ্রি করে বি এড করেছেন। কিন্তু সেসব জলে গেছেন। কিছু ক্ষেত্রে স্বামী- স্ত্রী দুজনেই আবেদন করে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ধর্মতলায় ঘাসের উপর বসে পূর্ণিমার চাঁদকে ঝলসানো রুটির মতো দেখছেন। রাজ্য সরকারের কাছে বহু অনুরোধ করেও মেলেনি সুরাহা। এমনকি সরকারের কেউ কেউ তাঁদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না রত ছেলে- মেয়েদের কাছে এসে কথা বলেছিলেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। চাকরি এখনো অধরাই রয়ে গেছে। ইভিএম নিউজ