ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৮ ফেব্রুয়ারিঃ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ১৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প। ১০ টি নদীর বুকে ড্রেজিং করে পলি সরিয়ে নদীর নাব্যতা বাড়ানোর জন্য এই প্রকল্প।কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের ৬০% খরচ বহন করবে, বাকিটা করবে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন জায়গায় নদীর দু’পারের সৌন্দর্য্যায়নও হবে। প্রকল্প রূপায়িত হলে কিন্তু পর্যটন এবং তার অনুসারী শিল্পেরও প্রসার ঘটবে। উপকৃত হবেন বহু মানুষ।
একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে সরকারি ও প্রশাসনিক মহলে হইহই রইরই ব্যাপার চলছে দীর্ঘদিন ধরে, তখন আরেকটা দিক থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত, সেটা হল কৃষক স্বার্থ। ওই ঘাটালেই বিঘের পর বিঘে জমির ফসল নষ্ট করে দিচ্ছেন কৃষকরা। কারণ চাষ করে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা। এতটাই খারাপ অবস্থা যে দিন গুজরান করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লঙ্কা চাষিরা পড়েছেন অবর্ণনীয় দুরবস্থায়।
কিন্তু লক্ষীর ভান্ডার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী – মা মাটি মানুষের সরকারের তো রয়েছে একাধিক প্রকল্প। এমনকি রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকারই কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তাও দেয়। তাহলে এত হা হুতাশ কেন করছেন কৃষকরা? কি চাইছেন তারা?
হ্যাঁ, এবার বোঝা যাচ্ছে চাষীরা ঠিক কি চাইছেন। তাদের এই দুরবস্থার আসল কারণ গুলোই বা ঠিক কি কি।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার খাসবার, বালিডাঙ্গা, মনসুকা, দাসপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিঘের পর বিঘে জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে কেন ফসল নষ্ট করে দিচ্ছেন চাষীরা নিজেরাই, তাও বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসনের কানে পৌঁছচ্ছে কি তাদের হাহাকার? কৃষকরা কিন্তু তাকিয়ে আছেন সরকার ও প্রশাসনের দিকেই। যদি কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয় প্রশাসনিক মহল থেকে তাহলে শ’য়ে শ’য়ে কৃষক পরিবার স্বস্তি পাবেন, মুক্তি পাবেন ঋণের বোঝা থেকে। কিন্তু তা না হলে তারা কি করবেন, সে কথা ভেবেই এখন মাথায় হাত লঙ্কা চাষীদের।